এখন তো আর তোমার ব্যস্ততা নাই
দুটি বাক্য কতেই পার অপচয়, ঠাই।
কৃপণের মত আসও আবার চলে যাও
কষ্ট দিয়ে সখী তুমি বুঝি খুব মজা পাও।
তাও যদি বসতে পাশে গায়ে গা ঘেঁসে
ক্ষণিক সময়,পা ছড়িয়ে সবুজ ঘাসে।
মুখের কথা নাই বা হলো মুখে মুখে
কিছু কথা হতেই পারে চোখে চোখে।
হাসি আর রাগ,মান অভিমানের ছলে
সবার আড়ালে দুফটা চোখের জলে।

এখন তো আর তোমার ব্যস্ততা নাই
দুটি বাক্য কতেই পার অপচয়, ঠাই।
এখনি যাবে চলে ? এখনি তো এলে
বুঝ,কষ্ট হয় ? এই ভাবে চলে গলে।
রাতের পরে রাত জেগে স্বপ্ন দেখি
স্বপ্ন বুনি, স্বপ্নের মায়ায় স্বপ্ন লেখি।
বলবো বলে পাশা পাশি নির্জনে একান্তে
তোমার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে কান্তে।
অশান্ত মনের নিরব কষ্টের গুলোর প্রান্তে
এক বিন্দু সুখ খুঁজে পেতে সবার অজন্তে।

এখন তো আর তোমার ব্যস্ততা নাই
দুটি বাক্য কতেই পার অপচয়, ঠাই।
লেখা পড়ার ঝুটও ঝামেলা গেছে চুকে
পাস ফেলের দুরু দুরু ভয় নাই বুকে।
বয়সটা গেছে বেড়ে নিজের অজন্তে
কবে কে কি লিখেছিল তা জানতে।
জানলে না সুপ্ত মনের অব্যক্ত বচন
পরে রইলা নিয়ে শুধু অন্যর রচন।
কত বসন্ত, একাকী রজনীর পরে
এলে নিরবে নির্জনে একান্তে এ দ্বারে।

এখন তো আর তোমার ব্যস্ততা নাই
দুটি বাক্য কতেই পার অপচয়, ঠাই।
আসতেই পার মাঝে মাঝে সবার অলক্ষে
গল্প-কথা কিংবা রাজনীতির পক্ষে বিপক্ষে।
সিনেমা ছবির কথা উপকথার টক ঝালে
যা ইচ্ছা,যখন ইচ্ছা সকাল কিংবা বিকালে।
সমাজ সংসারের ঐ সেই সময় গেছে চলে
ওগুলো রেখনা আর ফেলে দাও জঞ্জালে।
ভয় করো না,আসি,থাকবো তোমার পাশে
হাসি কন্না, সুখ-দুঃখ আনন্দ বিলাসে।