মনে পড়বেই, মনে রাখবোও এই মায়ার শহর যতো দূরেই যাই চলে।
পুরোনো স্মৃতিরা ঘুরে ফিরে আসবেই নতুন করে দুটি নয়নের জলে।
যতো কাছে রই কিবা যতো দূরে যাই দৃষ্টি সীমানায় কর্ণফুলীর জল।
শতো ব্যস্ততায় ও ভারী অলসতায় ঘুরে ফিরে সে গভীর প্রেম অতল।
গায়ে গায়ে লেগে রয় গুন-গুনিয়ে কথা কয় শীরিষতলে শীতল বায়ু,
শৈশব ও কৈশোর স্মৃতি ছায়ার মতোই লেগে রয় বাড়ুক যতো আয়ু।
যদি ফের দেখা হয় কভু লালদীঘির বলি খেলায় বা বাণিজ্য মেলায়,
কোর্ট হিলের সাপের খেলা, বিজয় মেলার গল্প হবে এক কাপ চা'য়।
শাহী মসজিদ, জুমা'র জামা'ত, লালদীঘির জলের খেলা মনে পড়ে,
জিলাপি পাহাড়, রেললাইন বেয়ে হাঁটার স্মৃতিত, বেশ আবেগ বাড়ে।
পতেঙ্গার চরে অবাধ বিচরণ, নৌকা ভ্রমণ, বিমানবন্দরের ফটোশুট,
প্রায়শই মনে পড়ে খুব কাজীর দেউরীর সে' শিশুপার্ক, মাথার মুকুট।
প্যারেড মাঠে সেই মাহফিল, বইয়ের দোকান ঘুরে ঘরে ফেরার রাত,
আবার সে কখনো আসবে কিনা জীবনের বাঁধ ভেঙে খুশির প্রভাত!
বায়েজিদ বোস্তামীর কাছিমগুলো হয়তো আরো বেঁচে রবে বহুদিন,
তবু একদিন থেমে যাবে এই পথ চলা, এই পাওয়া না পাওয়া খেলা।
যদি কোনো দিন শুনো খেলা থেমে গেছে কোনো মধুরাতে পূর্ণিমায়,
মনে রেখো চেয়েছি ক্ষমা, করজোড় মিনতি, সামিল করো প্রার্থনায়।