এখন তো কেউ আর অলস সকালের আয়েশী ঘুমটাকে টেনে ধরে না।
এখন তো কেউ আর ঘুমন্ত আমার হুটহাট বুকের উপর উঠে পড়ে না।
এখন তো কেউ আর আধোয়া মুখটা এপাশ ওপাশ আঁকে না আদর চুম।
এখন তো কেউ আর শীতের সকাল জড়িয়ে ধরে বাড়ায় না বুকের ওম।
এখন তো কেউ আর এসে বলেনা 'ওঠো ওঠো, তাড়াতাড়ি ওঠো আব্বী'।
এখন তো কেউ আর আমার না-ঘুমাবার তুলে নাকো পরম মরমী দাবী।
এখন তো কেউ আর টেনে-টুনে তুলবার নেই যে আমার পরম প্রিয়জন।
এখন তো কেউ আর নেই, নেই দ্রুত জেগেও উঠার অতোটা প্রয়োজন।
আজকাল খুব মনে পড়ে তোকে, সেই সব মধুমাখা সবুজ সতেজ স্মৃতি।
আজকাল খুব করে বেড়েছে মায়ার উৎপাত, স্মৃতিদের ব্যাপক বিস্তৃতি।
আজকাল খুব মনে পড়ে-
সঙ্গে তোর খুব ভোর রিকশা চেপে ইশকুল যাওয়া।
সারা পথ এটা ওটা জানতে চাওয়া, জড়িয়ে বাহু জমিয়ে আড্ডা দেওয়া।
এখনো একই পথ রিকশা' চড়ি, যেতে যেতে সারা পথ ভেবে ভেবে রই।
বুকের ব্যাসার্ধজুড়ে জড়ো হয় হারানোর সময় শোক, স্মৃতি সুখ তোরই।
সন্ধ্যায় ফিরে ঘর, দেখি নেই তুই, নেই কেউ পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর।
খানিক থমকে তবু অপেক্ষা আক্ষেপ করি, বড়ো শূন্য লাগে পূর্ণ এ শহর।
শোবার ঘরে নির্ঘুম রাতে একা শুয়ে বসে ভাবি;
এভাবে কাছে এসে পাশে বসে ঘুম পাড়ানি তুই।
এ'গালে কপালে নরম গরম চুমুর ময়ূরপেখম,
মাথায় হাত বুলিয়ে আদর, মায়ায় পরাণ ছুঁই ছুঁই।
সোনালী দিনগুলো হায় তড়িৎ কেটে গেলো এলোমেলো স্বপ্নের মতোন।
সেই ভালোবাসা,
সুপ্ত হৃদয় ভাষা,
ভাষাহীন আশা,
নীরবতা সহসা,
সেসব মধুমাখা স্মৃতি বুকের গভীর লালন করি আজো অকৃত্রিম যতোন।