শরীরে ক্লান্তি ভীষণ, দু'চোখে জমেছে ঘুম,
পায়ে হেঁটে ফিরছি বাড়ি একাকী।
পথে সুনসান নীরবতা, নিরিবিলি পরিবেশ,
আলো আঁধারি রাস্তা কিছু বাকী।
পথে দু'ধারে ঘর-বাড়ী সব অন্ধকারাচ্ছন্ন,
হয়তোবা শুয়ে পড়েছে লোকজন।
চেনা শহরের আকাশও কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন,
ক্লান্তি-মাখা শরীর খুঁজছে আসন।
পথ কিছুটা বাকী....
তড়িঘড়ি হাঁটছি খুব, দূরের আলো জ্বলছে,
কিছু কিছু জানালা এখনো খোলা।
মুখ তুলে চোখ মেলে দেখলে ঝাপসা দৃষ্টি,
বৈদ্যুতিক বাতির আলো যে ঘোলা।
সারা শহরের কোল জুড়ে কিছু কিছু দীপ,
হয়তো-বা মিছেমিছি স্বপ্ন বুনে যায়।
ক্লান্ত শহরে ঘুম নেমে এলে গাঢ় অন্ধকার,
কান পেতে দিলে হাওয়া গান শুনায়।
আকাশ পানে তাকালেই ভীষণ অন্ধকার,
বিষন্ন শহরটা ভীষণ নির্জন নিরালা।
দূরে হিলিয়াম বাতির কিছু আলো জ্বলে,
একে একে বন্ধ হয় সমস্ত জানালা।
হয়তো গভীর রাত, সময়ের হিসেব নেই,
এক শুভ্র বিড়াল ছানার আনাগোনা।
নিলাম তাহারে কোলে, জড়ালাম আদরে,
এমন নিশীথ রাতে তুখোড় আনমনা।
প্রভাতের নক্ষত্র জ্বলুক, ভোরের আকাশ,
পায়ের নিচে গড়িয়ে যাক কিছু সময়।
কালো চোখে আলো আসুক, ভাসুক স্বপ্ন,
যা বলে বলুক লোকে, কাটুক সংশয়।