আমার দু'ধারেই নেমে এসেছে গোরস্থানের নৈঃশব্দ্য!
এক পাশেতে চেয়ে আছে শোকাবহ দৃষ্টির আবছায়া।
অন্যপাশে বহমান বিয়োগব্যথার কাব্যগাঁথায় ক্রন্দন।
দু'পাশেই বড্ড ভাঙন সুর, বেসুরা কণ্ঠে বিলাপ ধ্বনি।
সম্মুখে বিশাল সারি সারি লাশের বহর, কান্নার রোল।
ব্যর্থ প্রচেষ্টায় ছিঁড়ে ছিঁড়ে যায় কতোই আত্মার বন্ধন।
অস্ফুট ক্রন্দন লীলা উঠে আঁধার-ঢাকা শহরের বুকে।
বঞ্চনার আগুন গুন-গুন গীতি গায় চৌরাস্তার মোড়ে।
বিবেকের অশ্রুকণা জমে জমে বরফের শ্বেত পাহাড়।
পাখিদের ডানায় ভর করে পালিয়ে বেড়ায় প্রতিবাদ।
অভিনয় কাকে বলে, খিল-খিল হেসে উঠে বন্যপ্রাণী।
সূর্যদীপ্ত প্রভাত সাক্ষী আর জোছনাস্নাত নিশিও সাক্ষী-
ক্রোধের অগ্নি ঘুষে ঘুষে জ্বলছে বোধের ডালপালায়।
অদৃশ্য অস্তিত্বজুড়ে কেবল প্রতিশোধেরই আনাগোনা।
নামমাত্র প্রতিরোধ প্রতিবাদ- বেহায়াপনার নামান্তর।