মেঘের গর্জন থেকে জানা গেলো তাদেরও ভীষণ দুঃখবন্যা,
যেনো বারান্দার রেলিঙ ভেঙে পড়ে যাওয়া নাবালক কন্যা।
অনল রঙের আকাঙ্ক্ষারা বাহু প্রসারিত করে দেয় নিয়তো,
বুকের অতলে হৃদয় নামক আঁখিটা বুঝতে পারে বেশ দ্রুত।
নেতিয়ে পড়া কারো ষাটোর্ধ দেহটা রোদে পুড়ে পুড়ে ছাই,
শিকারী পাখিটার মতো ছুটছে দিগ্বিদিক, গন্তব্য জানা নেই।
অশ্রুর আগুন গলিয়ে দেয় পুড়িয়ে দেয় পোড়া মাটির প্রস্তর,
ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে আঁধারেই অদৃশ্য করে দুঃখের স্তর।
সুদূরের গহীন বনে সুখের আলো জ্বল-জ্বল জ্বলবে- জ্বলুক,
মেঘের তালে বৃষ্টির ছন্দে নষ্ট কষ্টের অশ্রুরা ঝরলে ঝরুক।
ধুয়ে মুছে যাক দৃষ্টির দরজা, শান্ত হয়ে পড়ুক বুকে ধুকধুক,
কম্পনে কম্পনেই ধীরে ঝরে পড়ুক হৃদয়ের অজানা অসুখ।