সুবেহ্ সাদিকের লগ্ন
প্রকৃতি নিরব শান্ত
অন্ধকার কাটিয়ে আবছা ক্ষীন আলো
হঠাৎ হঠাৎ নিজ বাসস্থান হতে পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ
দূর গৃহস্থঘরে কুক্কুরুক্কু মোরগের ডাক
এসবের সাথে জাগ্রত আমি, তোর ভাবনায়
এরুপ লগনে কখনও ভেবেছিস কি আমায় ?
ভোর পেরিয়ে সকালের রোদ
আড়মোড়া দিয়ে জেগে ওঠা গাছগাছড়া
ব্যস্ত হতে যাওয়া পথিকের আনাগুনা
নিম ডাল হাতে নদীর ঘাটে বসে, শুচি হতে আসা বৃদ্ধ
নদীর স্বচ্ছ জলে সুর্যের আলোর মিতালীতে ঝলমল চোখ
অপলক দৃষ্টি দিয়ে চেয়ে আমি, তোর ভাবনায়
এরুপ লগনে কখনও ভেবেছিস কি আমায় ?
উদাস দুপুর
বাতাসের সাথে গাছের মিলনে সৃষ্ট অপূর্ব বাদ্যে চঞ্চল মন
মেঠো পথের ধারে বসা ক্লান্ত পথিকের শ্রান্ত অবসাদ দেহ
নুয়ে পড়া ধানপাতার সাথে বাতাসের প্রেম
অদূরে অশ্বথের পাতায় লুকিয়ে হলদে পাখি
অবাক নয়নে সেদিকে তাকিয়ে, আমি তোর ভাবনায়
এরুপ লগনে কখনও ভেবেছিস কি আমায় ?
শেষ বিকেলের ক্ষণ
হঠাৎ আগমনী বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া প্রকৃতিতে গোধুলীর রং
রক্তিম আভায় আচ্ছন্ন চারিদিক
যেন সন্ধ্যার অন্ধকার দুরে সরিয়ে আলোর ঝলকানি
ঘরে ফেরার তাগিদে ব্যস্ত পাখিদের উড়াউড়ি
অপূর্ব এ রোমাঞ্চকর মুহুর্তে, আমি তোর ভাবনায়
এরুপ লগনে কখনও ভেবেছিস কি আমায় ?
রাত্রির নিরবতা
বিছানায় ক্লান্ত দেহ, নিদ্রাহীন চোখ
ক্ষণে ক্ষণে টিকটিকির ঠিকঠিক আওয়াজ
রক্ত চুষে নিতে আসা মশাদের বিরক্তিকর ভনভন গান
ভাংঙা বেড়ার ফাঁকে জোৎস্না আলোর আগমন
আহ্ ! হৃদয়ে উপচে পড়া প্রেম আর, আমি তোর ভাবনায়
এরুপ লগনে কখনও ভেবেছিস কি আমায় ?