ষড় ঋতুর প্রকৃতিতে, ঋতু আসে
ঋতু যায় প্রকৃতি বদলায় প্রকৃতির নিয়মে।
কখনো গ্রীষ্মের তপ্তরোধ
কখনো বর্ষার আকাশে
মেঘের ফাঁকে উঁকি দেওয়া সূর্যের হাসি।

কখনো বা কুয়াশা ভরা ঘাসের উপর
শিশির পড়া শীতের সকাল।
আবার কখনো বা কৃষ্ঞচূড়ায় লাল হওয়া
কোকিল কন্ঠি বসন্ত।
এভাবেই, প্রকৃতি চলছে প্রকৃতি চলছে প্রকৃতির মতো।
*
★আর জীবন!
তাও চলছে ঋতুর মতো।
হয়তো প্রত্যেকের জীবনে
ষড় ঋতুর দেখা মিললেও
আমার তা মিলে না।

সারা জীবন দেখা মেলে
শুধু একটা ঋতু তা বর্ষা।
মেঘে ডাকা কালো দিন
আর দুর্যোগের ঘনঘটা।

কখনো বা দমকা হাওয়া
কখনো বা অজোর শ্রাবণ,
কখনো বা অথৈ পানির স্রোত।
দৈনন্দিন নিয়মে সূর্য্য উঠে আর ডুবে
কিন্তু সূর্য্য হাসে না।

বালির উপর রোদের আলো
আর চিক চিক করে না।
শরতের রংধনু দেখা যায় না
বসন্ত আসে না।

তারপর ও থাকি প্রতি রাত,প্রতি ভোর
বসন্তের প্রতিক্ষায়।
কখন আসবে সেই বসন্তের সোনালী ভোর?
কখন গাইবে পাখি গান?
কখনই বা ফুটবে হলুদ, লাল আর কৃষ্ঞচূড়া ফুল?
আর কখনই বা বয়বে মৃদু মন্ত বাতাস?
.
..আদৌ কি পাখি গাইবে গান,
হবে কি সেই সোনালী ভোর?
নাকি ফুটবে না আর কৃষ্ঞচূড়ার লাল ফুল?
নাকি আশা গুলো হয়ে যাবে মরিচিকা?
আর স্বপ্ন গুলো হয়ে যাবে ভুল?,,,,,,,