📖
🖋️
জীবনতো জলন্ত মোমবাতি,
যেতে-যেতে পথে সময়ের সাথে সাথে হয় ক্ষয়।
কোন পথে?
কোন রথে?
জীবনের জ্বালানি জ্বলে,  হিসেবে বড্ড কাঁচা।
🕘
আদিতে আমরা সম্পূর্ণ ছিলাম, ছিলাম এক বিন্দুতে, বৃত্তের চৌদিক ছড়িয়ে পরেছি
কুরআন সুন্নাহর রশ্মিতে (সিরাতল মুস্তাকিম)।
📖
দিনেদিনে বেড়েছে পুস্তক।
সত্য-মিথ্যার বিন্দুতে বিচারক, স্বর্থের বাণী ঢালে নির্ভিক।
কিতাবের ব্যবসায় লাভ ভেবে ধর্ম হয়েছে মুলধন, আবেগের রশি ধরে গল্পের বহর চলে,
দরকষাকষি করে ধর্ম বেঁচে খায় ধর্মগুরু,  
এর চেয়ে সহজ ব্যবসা নাই ভেবে কলাকৌশল ভাগ করে নেয় ঔরস।
কণ্ঠের বাজার ভালো,  হেমিলিওনের বাঁশিওয়ালার চেয়েও চতুর,  
ঈমানের ডাকাতি করে নূরানী ডাকাত!
ধর্মের কথা উজার করে দেয় তবে, ধর্ম বোঝেনা!
বেহেশতের চৌরাস্তা ভেবে সুরাশক্তের মতো মুসলিম,
লাইন চ্যুত ট্রেন পড়ে খাদে।
দল ও দরবারের স্বার্থে ইসলামকে পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে
যার যার মত করে, করে যোগ, বিয়োগ, ভাগ,
নিজেকে বসান চুড়ায়।
ধর্ম দিয়ে মর্ম বোঝেনা ওরা; দরবার দিয়ে বোঝে!
গভীর পকেটে থাকেন নিজস্ব দোয়ার কারিশমা, দু'জাহানের দায়িত্ব সামলান নিপুণ তরিকায়
আবার পুলসিরাতের ইজারাদার কখনো,
কবরের আযাব ঠেকাতে খাটেন মজুর, নিজেকে বড়সড় আউলিয়া সাজান ভাড়াটে হুজুর।
ইবাদাতের মলিকানা পেয়েছে ভেবে মনমতো বানায়,
বাড়ায় ফজিলত;
এই কল্পিত-ফল আল্লাহ দিবেননা, শুধুই কসরত।
📖
কুরআন সুন্নাহর চেয়ে কী আছে মহৎ সিলেবাস?
কী আছে শক্ত ও মজবুত?
এ পরশ পাথরে পথের পাথেও বিচার করে ভর ঝুলি,
কপাল যাবে খুলি।
এ মহান সংবিধান, জীবন চলার নিধান পূর্ণ পুণ্য দিয়ে।
এ মহৎ মতের কমবেশি করে ধর্মের মানে কি জানে?
এখানে হাত-পা বাঁধা পরে যায়,  টাইটেল গুলো মিছে মনেহয়।
সতত যুক্তিদিয়ে মুক্তি মিলেনা, যুক্তিবাদী ইবলিশ
আল্লাহর কুরআন পড়ে অথচ হুজুরকে দেয় বখশিশ।
📖
আসুন,
ফিরে আসি, ফের্কাহ নাজিয়ায়।
এ মাপকাঠি বুকে চেপে ধরে,  জীবন সমর্পণ করি ইসলামে।
যেখানে শান্তির কল্লোল বয়ে চলে -
মদিনার ধমনী হতে ধমনীতে।