(উৎসর্গ: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – ১৪০০ সাল)

আজ হতে শতবর্ষ পূর্ব-হতে-শতবর্ষ পর
শব্দ তরঙ্গে ঢেউ তুলতে-তুলতে তোমার  
আবেগ ছোঁয়া প্রাণ, প্রস্ফুটিত ফুল, বিহঙ্গের গুণগান,
রক্তরাগ- অনুরাগে সিক্ত করা স্পন্দন
পৌঁছে গেছে মন মর্মে মোর।

দক্ষিণ বাতায়ন খুলে আজ
মুখোমুখি, কংক্রিট কণা আর দুর্ধর্ষ ধুলো-কুয়াশার
পল্লবে ঢাকা প্রকৃতির মুমূর্ষু প্রাণ
পাখিরা উড়তে চায়, গাইতে চায়,
শুষ্ক কণ্ঠে কর্কশ ধ্বনির নরক যন্ত্রণায়
ঢেকে যায় গুঞ্জন-গান।
পুষ্পকলি শুকিয়ে গেছে ডালে, ভ্রমর-গুঞ্জনে বিরহের সুর
ফ্রিজিং ফুলে সজ্জিত কন্যার পার্ফিউম মাখা
ঝাঁঝালো ঘ্রাণ আর কা-কা ধ্বনিকে ম্লান করে দিয়েছে -
তোমার সজল সওগাত।

সুদূর দিগন্তে চেয়ে কল্পনায় অবগাহি
মন মনিটরে ভাসিয়ে তুলেছি শতবর্ষ পূর্ব
কোকিল কণ্ঠের অধীর দ্যোতনা,
বিকশিত পুষ্পের সৌরভ,
স্বর্গ হতে ভেসে আসা শান্ত স্নিগ্ধ অনুভব-
রাঙায়ে দিয়েছে ফাগুন গুণগান,
প্রশান্ত করেছে খসখসে মরুর চৌচির চেত চিত্ত।
তোমার আবেগ ছোঁয়া উপহার,
কল্পনার চাদরে অঙ্কন করেছি, সতেজ-সুশান্ত-বসন্ত,
খুলে গেছে মোর বিবেকের দার
আবিষ্কার করেছি মর্ম মহলের বিশাল প্রশান্তি।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছুড়েছি, হৃদয়-ছোঁয়া কবিন্দ্র-কবিতায়;
বসন্ত-বর্ণনায়,
মন মনিটরে ভাসিয়ে তুলেছি শতবর্ষ পূর্ব -
আমার ভাষাহীন চোখে;
তোমার ভাষাময়ী দৃষ্টির প্রতিচ্ছবি।

অভিবাদন কবিগুরু, আমার বসন্তদিনে
তোমার বসন্ত-গান ধ্বনিত হয়েছে হৃদয়স্পন্দনে
সবটুকু উজাড় করে,
আজ হতে শতবর্ষ পূর্ব-হতে-শতবর্ষ পর।