আগুন-আগুন-আগুন!
তারুণ্যের রক্তে জ্বলে আগুন থেকে ফাগুন-
অধিকারের আগুন, প্রতিবাদের আগুন।
বায়ান্ন থেকে চব্বিশ জ্বলে– আর কতো...? এবার থামুন!

ঘর পুড়ে গেলে পানি দিলে নিভে–
একবার রক্তে আগুন লেগে গেলে কী দিয়ে নেভাবে?
ফুঁসে ওঠা প্রবল রক্তস্রোত; লাশের বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে
লোকালয় প্লাবিত হলে, সবাই রক্তের গ্রুপ বেমালুম ভুলে যায়
ভুলে যায় ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি, সংঘাত–
শুধু জানে, রক্তের রঙ লাল; লালে লাল হয়ে ফিরে সবুজ সকাল।

রক্তাক্ত জুলাই! আরেক বার পবিত্র রক্তে স্নান করলো বাংলার সজীবতা।
আবু সাঈদ তাঁর প্রশস্ত বুক মেলে ধরলেন বাংলার মানচিত্রে,
পাষান্ড গুলি রুদ্ধ করলো বুলি; যুগে-যুগে বুলির মুখে গুলি হেরে যায় ইতিহাসে।
কত-শত বাবার কোল, মায়ের আঁচল রক্তে রাঙালো
এই তৃষ্ণার্ত বাংলা সিক্ত হলো খুনে, 'পানি লাগবে পানি'...!
সারাদেশ পানিতে থৈথৈ অথচ মীর মুগ্ধ– শুষ্ক-কণ্ঠে কাওসারের অধীর অপেক্ষায়...।
রক্ত বিক্রি করেনা বাংলার দামাল-
হাসতে-হাসতে ঢেলে দেয়, ভেসে যায় অন্যায়। রক্তের আগুনে যখন হৃদয় পুড়ে যায়
তখন রক্ত দিয়েই রক্তের আগুন নেভাতে হয়! অগণন লাশের পাহাড় যখন
রক্ত-রঙে রাঙায় সন্ধ্যার আকাশ তখনই অথই আঁধার ছিঁড়ে প্রত্যুষে পূর্বাশার আলো
জ্বলে চোখেমুখে- মুক্তিকামী জনতার।

আর কতবার রক্ত দিবো, কত রক্ত চাই বাংলাদেশ?
এবার বন্ধ করো রক্তের হোলি-খেলা-
জেনেরেখো, আমরা রক্ত দিয়ে আলপনা আঁকতে জানি
আমাদের সর্বস্ব দিয়ে প্রতিবাদ করতে জানি,
একাত্তরের মতো বার-বার স্বাধীনতা আনতে জানি।

আমরা সবাই বাঙালি, বাংলাদেশি বাঙালি, বাংলায় কথা কই,
সাম্যের গান গাই, বৈষম্যের মূলোৎপাটন চাই।
এসো এই স্লোগানে জাগি আবার পুনর্বার
হাতে রেখে হাত স্বপ্নদেখি- শ্রেণিহীন বাংলার।
মুখের ভাষা কাইড়া নেয়ার দুঃসাহস দেখাবিনা, কেউ