🖋️
একটি মেয়ের মুখ, বিষণ্নতার কালো অন্ধকারে ঢেকেযেতে দেখেছি,
যতটা কষ্টের বহিঃপ্রকাশ হলে প্রজ্জ্বলিত চাঁদের আলো ম্লান হয়ে যায়।
ভীষণ ভয়ংকর মেঘেরা কী জানেনা -
কষ্টের গভীরতা কত;
পাথরচাপা ঘাসের সাদা কষ্টের পরিধি
পাহাড়ের বিশালতা জানেনা,
মেঘেদেরও একদিন কাঁদতে হয়
পাহাড়ের অশ্রু যেমন অঝোর ঝর্ণাধারা
পাদদেশে ক্ষত-র যন্ত্রণা নদীর সৃষ্টি করে।
হৃদয়ের কথা আমি বুঝি
কবি'র কাজ হলো, গভীর থেকে গভীরে ডুব দেয়া
আহরণ করা অভিব্যক্তির উন্মীলন করা
তাইতো আগুন স্পর্শ না করেও আগুনে
পুড়ে যাই
পানিতে না নেমেও পানিতে ভিজে যাই।
তোমার পর্বতচাপা কষ্ট কী তা বুঝি,
কথা বলতে গিয়ে থেমে যাও, বেঁধে রাখে কেউ তোমার জ্বিহবা কণ্ঠদেশ।
কী এমন বিস্তর প্রাচীর, যা পৃথক করে তোমার থেকে তোমাকে?
বাঁধভাঙার আওয়াজ শুনতে পাই
ভায়োলিনের বিষণ্ন সুরের মুর্ছনায়।
তুমি বেড়িয় এসো আঁধার চাদর ছিঁড়ে
দৃশ্যমান হও দীপ্তমান সুর্যের মত
জ্যোৎস্নাস্নাতগায়ে দ্যুতি ছড়াও পূর্ণীমার চাঁদের মত।
তুমি জানো কী?
কণ্ঠ তোমার মধুর চেয়েও মিষ্টি, দোতারার টানটান সুর রবিসংগীতের মত বেজে উঠে 'মম চিত্তে'
তোমার ওষ্ঠদ্বয় মধ্যযুগের কোন জীবন্ত শিলায় শ্যাওলার ফুল, আঁখিদ্বয় ভাসমান শাপলার ফুল,
আধুনিকতায় ছড়ায় সুঘ্রাণ।
তবুও কেনো এই নির্মম নিরবতা?
হেসে উঠো খিলখিল করে
শুষ্ক শুন্য হৃদয় চরাচর ছেড়ে
ভুলে যাও সব ব্যথা ব্যবধান
এ আমার আকুল আহবান।