আমাকে একটু যত্ন করে
ছেলে বলে ডেক
মা বলে ডেকেছি কবে, কোন দিনে
মনেও পরে না আর
ভাগারে বসে এখন আমি আরেক
নবজন্মের স্বপ্ন দেখি
কিলবিল করে ঘুরে বেড়াচ্ছে
মায়েদের শ্রদ্ধাবনত
সন্তানেরা , সেখানে আমি আবার
সৌরবিদ্যুৎ জ্বালাবো
ঝলমলিয়ে উঠবে চতুর্দিক , দৃষ্টান্ত হব মা
এখন ঠায় দাঁড়িয়ে কিশলয়ের পাশে
কাউকে মা বলেছে কিনা
ওদেরও মনে নেই , খাবারের ভাগ নিয়ে
লড়াই লেগে যায় প্রায়ই
কামড়া কামড়ি , রক্তারক্তি|
ষড্ডা স্যারের রাগের মাশুল
চিনচিন করে ওঠে আজও পিঠের ডান দিকটা
জেঠিমা -
কমলা পাড় সাদা শাড়ীটায়
মায়ের মত তুমি কত যে সুন্দর
তেত্রিশকোটি দেবতাও ম্লান
আলতা রাঙা চরণে
থমকে যায় পৃথিবীর শান্তি
ভ্রু জোড়া টকটকে গোলকটায়
আমার জন্ম হয় মৃত্যু হয়
চারপাশে নড়েচরে ওঠে শবেদের মজলিশ
কাকে যেন চেনা লাগে খুব
দুহাতে আঁচল খুলে দাঁড়িয়ে থাকে
ঐহিক পেতে
সে তো নৈমিত্তিক শৃঙ্খলাবদ্ধ
চর্বিত ক্ষুদের অবশিষ্ট জাউ -
আমি বয়ে যাচ্ছি ক্ষয় হয়ে যাচ্ছি
কোন প্রতিক্রিয়া নেই আর
শেষ বেলায় -
বেদনাহতের মত ডাক আসে
পারিনি মা
দ্রাঘিমার বাইরে এই আমিটাকে মেরে
ফেলে দিতে
দু চারটে শকুন চেয়ে থাকে
এই আমার মৃত্যুর চারপাশে
আমি অবসন্ন হয়ে যাই
আমার হাত ধরে টেনে তোলে না কেউ
ঝাপসা চোখে ঝলমল করে ওঠে
তোমার কাপড়ের জেল্লা
ক্লান্ত বিদ্ধস্ত আমিটা নতজানু হয়ে
থাকি তোমারই পদমূলে মাগো |