আর তিন মিনিটের মাদকতা নয়,
কেটে যাচ্ছে আমার সকাল থেকে রাত।
শুধু হতাশা,হতাশা, হতাশা আর অন্ধকার-
নীরাকে নাকি কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
নিখিলেশ, শুনেছিস নীরা নিখোঁজ?
নিখিলেশ, স্বপ্নটা বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগে!
নিজেকে ভীষণ অপরাধী মনে হয়-
চ্যাটচ্যাটে গায়ে, ঘেমো শরীরে ঠাণ্ডা দুপুর।
সেদিন কিন্তু একশো আটটা নীলপদ্ম ফুঁটেছিল।
মহাজাগতিক? শেষ কে দেখেছে কবে?
সেই যে নিখিলেশ, ময়দানে তোর জ্বলন্ত সিগারেটে,
ভাগাভাগি, কাউন্টারের দুটো টান…
ধুঁয়োটা কেমন পাঁক দিচ্ছিলো মাথার উপরে।
গতরাতটা কাটিয়েছি কবরখানায়, মৃতদেহের মতো।
উলঙ্গ আত্মারা উঠে এসেছিল পাশবিক ভঙ্গিমায়;
আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, নীরার কথা।
সব বলেছি আমি, নীরার চোখ, ঠোঁট, চিবুক….
বিশ্বাস কর নিখিলেশ, আমি ছুঁয়েছি ওসব!
পৃষ্ঠদেশের পেলব ভূমি। তীব্র শিহরণ!
দ্যাখ নিখিলেশ, দ্যাখ-
দু’হাতের মুঠোয় নীরাকে ধরেছি আমি।
আঙটির মতো প্রশস্ত প্রেম। উদ্ভ্রান্ত বাহু।
আমায় কেউ প্রশ্ন করে না, নীরা কোথায়?
ইন্স্যুওরেন্সের ঘড়িটার কাঁটায় নীরার বিপন্ন অস্তিত্ব!
নিখিলেশ, শুনেছিস নীরাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?