আমি কয়েক পশলা বৃষ্টি চেয়েছিলাম-
কিছুটা ঝিরঝিরে, কিছুটা মুষলধারে,
আর বাকিটা শরীরে বিঁধে যাওয়া
শাণিত ছুড়ির ফলার মতই তীক্ষ্ণ, নির্মম।
আমার গায়ের সাথে লেপটে থাকা আবরণী,
হতে পারত বৃষ্টি সিক্ত দুঃসাহসিক উচ্ছলতা।
আমার খোলাচুল চুঁইয়ে পড়া জলবিন্দু,
দেহ নিঃশেষে অফুরান শিহরণ, কম্পন,
অথবা আমার ভেতরের সর্বস্ব আমিটুকু,
চুপিসারে শুধু আরও কিছু বৃষ্টিই চেয়েছিল।
আমি হতে চাইনি ঠিক এমনটা,
যেমনটা এই আজকের আমি, হতে চাইনি!
যদি কখনও পারতাম, নিজেকে বদলে নিতাম
ঐ কানামাছি খেলা দস্যি মেয়েটার সাথে।
যে মাঝমাঠে একগুচ্ছ ফড়িং ধরতে ছুটে যায়;
যে মেয়েটা একদিন লজ্জা গায়ে ছড়িয়ে
উঠে আসে জামা থেকে সালোয়ারে, অজান্তে।
বয়ঃসন্ধির জড়তা গায়ে মেখে উদাসী হয়,
কাঁধের ওড়না বদলে যায় পাট করা শাড়ির আঁচলে।
আমি হতে চেয়েছিলাম সেই মেয়েটা,
যে এখনও দু’হাত বাড়িয়ে ছাদের কিনারে বৃষ্টি মাখে;
ভেজা শরীরে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে ওঠে গোপনীয়তা।
আর তখনই সেই মেয়েটা রমণীর বদলে হঠাৎ নারী!
আমিও তারই মত বৃষ্টি মাখতে চেয়েছিলাম।
হল না, কিছুতেই হল না!
সবাই জানে আমি নষ্ট মেয়ে;
না, আমি সে পুরাকালের নগরবধূ নই,
আমি বারবনিতা নই, দুশ্চরিত্রা নই।
তবুও আমি নষ্ট মেয়ে,
আমার নষ্ট কাহিনীটির নাম ভালোবাসা।
যে ভালোবাসার স্মৃতি, বিশ্বাসঘাতকতা বুকে
অবিবাহিত দেহ অবিরাম বয়ে চলেছে দীর্ঘ ন’মাস।।