জানলাটার বাইরে চোখ রেখে দেখছিলাম,
একটা উন্মাদ বাঁশি বাজিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল,
শব্দকে সাথে করে এগোচ্ছিল অনিশ্চয়তার পথে।
বলতে পারো? ঠিক কোথায় ওর জন্ম?
কোনখানেই বা বাঁধা পড়ে আছে মৃত্যু?
এদিক ওদিক ভ্রাম্যমান কয়েকটা রাস্তা,
অগুনতি ছুঁড়ে আসা রক্তাক্ত ঢিল,
পরিত্যক্ত, উচ্ছিষ্ট, অপর্যাপ্ত জীবনযাপন-
এটুকুই শুধু উন্মাদের প্রাপ্য? অধিকার?
কোন সংবিধান বুকে ছুঁড়ে দি অবজ্ঞা?
কোন মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে এত অবহেলা?
গণতন্ত্র নিঃশ্বাস ফেলছে উড়ন্ত ধ্বজা গায়ে,
মোটের উপর মানবতার ভাঁড়ার ক্রমশ: শূন্য।
প্রতিবন্ধী কিছু মস্তিষ্ক হাতড়ে যায় অবিরত;
ক্যালেন্ডারের পাতা ছুঁয়ে প্রশ্ন জাগে, কি পেলাম?
তখনই ঝলসে ওঠে কিছু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক,
তুড়ি মেরে পলকে জ্বালিয়ে দেয় দেশলাই কাঠি।
অথবা গোপনীয়তা মুড়ি দিয়ে কিছু তুমি-আমি,
পক্ষাঘাতের বিরুদ্ধে প্রতিষেধকের ব্যর্থ সন্ধান।
কিংবা ঐ উন্মাদটার মত আরও কয়েকটা ওরা,
জোনাকির আলোয় বাড়িয়ে ধরে ভিক্ষার হাত-
ভালোবাসা দাও, সহানুভূতি দাও, মানবতা দাও।