আমি এবং আমার চারটে দেওয়াল-
হঠাৎ হঠাৎ কেমন বেখেয়ালে ভুগি,
মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে ভারসাম্যহীনতা।
মধ্যরাত যখন গভীরতার পারা ছোঁয়,
কংক্রিটের মোড়ক খুলে বেড়িয়ে আসে
চার-চারটে রক্ত-মাংসের মানবী।
ওরা সবাই আমার ভালোবাসার, ভালোলাগার।
শৈশবের বেনিয়মে চুপিসারে এসেছিল প্রথমা,
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে মাতাল ভাবে দ্বিতীয়া,
বিবাহিত জীবনের নিজস্ব ঢঙে তৃতীয়া,
এবং বিবাহ-বহির্ভূত উন্মাদনায়, নিবিড়তায় চতুর্থী।
প্রত্যেকেই নিজের মত জায়গা খুঁজে নিয়েছে
আমার এই চারটে দেওয়ালের এক-একটায়।
বিনা সংঘাতে আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
অন্ধকারের আড়ালে ওরা নেমে আসে,
বোনা হতে থাকে নিষিদ্ধতার নিশ্ছিদ্র মায়াজাল;
যেখানে আর কারোর প্রবেশাধিকার নেই।
বাইরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ক্রমশ: উঠে আসে
আমার ঘরের ভেতরে, যেন তীব্রতর হয়।
রাত্রির মাদকতা শুষে নিতে চায় প্রতিটা স্নায়ুকোষ।
ছাদের নীচে খেলা করে চলে কিছু জ্যামিতিক আকার-
শুধু আমি, চারটে দেওয়াল আর ভারসাম্যহীনতা।।