||এক||

এতটাও অপেক্ষা, দিন রাত্রির গড়িয়ে
আবারও ঘন্টা,মিনিট,সেকেন্ড নিজেকে গোছাতে গোছাতে
হাঁফ ধরে একসময়,কি নির্নিমেখ স্নেহময়তা,
চতুর্দিক, সেই ফেলে আসা ঢেউ, এক আজলায়
দু' হাত চুবিয়ে কি নৈসর্গিক
প্রেম আবিষ্কার,সবকিছু নিয়ে গুম হয়ে থাকা গঙ্গা
বৈঠার সাথে কি এক সম্পর্ক শুধু
কতদূর যাবে গো মাঝি, সদ্য গামছার খুঁট খুলে
মুড়ি,সবজি নিয়ে বসেছে সবে
পাশে উদোম ছেলেটি,
হাত নেড়ে কিছু , হাওয়ার বেগে সবটাই
গেল তরঙ্গিত হয়ে, গুমোট কালো মেঘে
আসন্ন সংকেত, নুইয়ে যাচ্ছে মাঝি
লঞ্চ ডিঙিতে আবেগ নেই কোন,কেবল দেমাগ' আঁওয়াজ
পারলে চুবিয়ে দেয়, বেচারা !
নেহাত এক ময়ুরপঙ্খীর জন্য, অধরাই রয়ে গেল সব _____|

                 ||দুই||

শাঁল বনের হু হু শব্দের মত
এতটাই বিস্তার কেন দিলে তুমি, এইখানে কিছু শূণ্য
ভেসে বেড়ায়, রহস্যাতীত শব্দ হয়ে
টের পাই, বলে দেয় প্রত্যুষ, প্রকৃতিও নৈবেদ্য হয়ে
ফেলে রাখে স্মৃতিগন্ধ কিছু
ভাঙার শব্দ ----- কাঁচ, মানুষ, মন
একাংশ হৃদবৃত্ত শূণ্য চুবিয়ে ঝাঁ চকচক মহার্ঘ্যে
আচার্যের মহাকোষ
মিলিয়ে গেছে গোধূলির ধূসর শূণ্যে -----
হার্টেরা ভিসুভিয়াস,ঢিঁবি ফুরে ভস্মের উদ্গীরণ
প্রতি সান্ধ্য প্রার্থনায় তার
প্রাণ জোযনার ঢালাও আর্তি চলে!
দু'ফোটা করুণ বাটায় ফুটে ওঠে কৃত্রিম চোখ
ভিন্ন ভিন্ন স্তুতি, তবুও একই
প্র পিতা ক্ষুন্ন হন লাঠির আঁওয়াজ মেঝে নিক্কনে !

                 ||তিন||

এ স্কন্ধ জোয়ার হলে বহু মেঘ সরগম হবে
জোয়ারের ক্ষণে ঢেউ ছুড়ে বরফ
ঘনালে আবেগে এ দৃশ্যও বেগবতী।
আকন্ঠী পিতারা, ভূলব্ধ হও ভাসমান রেবতীর ক্ষণে,
চেয়ে দেখ নৈঋত আগুণ। ফিরে দেখ
মত্ত জোছনা, আশপাশ মূর্ত এক্ষণ সমুদ্র পিয়াসে
কে কার বৃত্ত ছোঁবে আকন্ঠ লাজেরা
এ কি চিরন্তন ? শুক্লপক্ষ শুধু
একটু চিরন্ত হও প্রজ্ঞা আগুণে ফিরে এস গোধূল স্খালন
আবারও শৈশব ডাকি মর্ত্য ঘিরে
ফেলে রাখি অবিশ্বাস্য ডিম , তা ফুঁরে যারা এল
এরা নয় মোহের কারণ , আদি অন্ত শেষে
একযুগ সাধ্য দাও, স্কন্ধবৃত মনে !