মাটি গর্ভের শেকড় বয়ে যে ভ্রূণের জন্ম
তার নাম ভ্রম, ক্রমানুসারে
মোচন শেষে নুয়ে আসা অবিনশ্বর আত্মায়
কোন ক্ষেত্র নেই, ঠনঠনে শূণ্যতা
উষা লগ্নে হঠাৎ করেই
তার স্মৃতিভ্রংশ হয়, মাতৃ আঁচল খসে নেমে আসে
গাছের কাছাকাছি বলে ' হয় জন্ম নয় মৃত্যু দে '
উত্তাপের কাছে তখনও শেষ জন্মে সে
লিখে রাখছে , কিছু শেকড় পোড়া আঁওয়াজ !
তীব্র শোনা যেত আগে
ক্রমে পাষাণ বেয়ে মৃত ক্ষেত্রের মতন নিষ্প্রাণ
যার তলে পাপ পূণ্যের নশ্বরতা ঢালে
প্রাত্যহিক উপাসক ,
অত্যাশ্চর্য এ গল্প শুরুর অনেক আগে প্রাণ আবিষ্কার
হয়েছিল , গাছেদের রোমে রোমে, দেহের শিরায়
রক্ত চিরে দেখা গেছে এরাও প্রেমিক
মাথা নেড়ে,
হাই তুলে প্রেমকাব্য বলে ------
শোকে দু:খে মায়ের আঁচলে
মাথা তোলে কত শত ভ্রূণ , ভ্রমের মতন !
ঘৃণা ও অবজ্ঞা ফেলে দু দন্ড সইতে পারো ছায়া
কিছুটা সহ্য খুঁজে পাবে , হে অর্বুদ বৃক্ষ হয়ে এস
খিদের পাতায় কিছুটা সংসার ধার করি
মেলে দিই বিস্তীর্ণ বসুধা রুপে, রসে নিস্ফলা হলেও
চিরন্ত হৃদবৃত্তে কিছুটা সময় রাখা আছে
সান্ধ্য দ্বীপে বাঁধানো গালিচা, নেমে এস পত্রাশ্রিত হয়ে
বায়বীয় পুরুষ গাছেরা
উন্মার্গী হলে, ঘুরেফিরে এস পূনর্বার
ঝোড়ো হাওয়া উথাল পাতাল
ঘর বেঁধে যেন কার
সংসার জোযনা। এখন স্যংখ্য মাস নৈঋত অধ্যায়
কি জোযনা রেখেছি বলোতো , মধ্যযামে
বুভুক্ষ মন লালায়িত হলে খিদা তেষ্টা লিখে রাখি
পাথর প্রদেশে ,পড়ে নিও ঝড় শেষ হলে।
যতটা মনস্তাপ ক্ষয়ে গেছে বয়েছে অকালে , তপ্ত সেই
দহনে দাহনে রেখেছি বৃত্তশোক কান্ড গভীরে
শাখায় শাখায় শুনো বার্তা তার, আগামী শ্রাবণে বর্ষা হয়ে
বলেছি অঝোরে -------- ।
কুড়ি হয়ে চপল স্বভাব , যদি অকৃত্রিম
ছুড়ে দিই কৈশোর বেলায় , সবটাই
কাটাকুটি খেলা, গাছ যদি প্রাণবন্ত হয় !
হাওয়ায়
লেপ্টে দিয়ে চোখের কাজল ,উড়ো চুলে
পাতাদের প্রেম এসবও বলেছি।
একদন্ড টেঁকেনি সে প্রেম, যেন কার দৃষ্টি লেগেছিল
অকালে ঝড়েছে প্রতিটি স্বপ্ন সেই
মহাকালও পারে নি ফেরাতে ,কটূগন্ধ এমনই ঝাঁঝালো
অঙ্কুরে বিনাশ তার চিরতরে চলে যাওয়া আছে
নেই কোনও ফিরে আসা।
লিখে রেখ সবটা আমার কোন সে সম্পাত
অভিশাপ কার আমারেই শুধু হেলায় মেরেছে,গাছ করে রেখেছে ইহকাল।