১১||

কেন্দ্রীভূত মন, থেমে যায় যদি
এ স্বপ্নিল ধূসর বেলায়, নিক্ষেপ কোর না তাতে শূল
এ প্রত্ন আদিষ্ট জেন, নতুবা দিগভ্রষ্ট যে নাবিক
ভূ-কেন্দ্র খোয়ালো
একদা বুকের ছাতে ঝড়ে জলে তীব্র পর্যটন
উদ্যত পোষা যন্ত্রটিও
নির্দেশকও জানে এ তার প্রচ্ছন্ন খেয়াল !

কে এসে ঢেকে দিলে আশ্চর্য প্রত্যুষ একে একে
বিন্যাসী রশ্মিরা, আহূত সৈনিক
মোড় ঘুরে এসে যায় সশস্ত্র আঁওয়াজ
দু' হাত বাড়ায় নভ্যোতল, সারি একে একে --------'
একেও সান্ধ্যকাল বলে ! নিষেধ সরাও !

বাণিজ্যিক স্তোত্রগুলো ময়দানে নি:শব্দে সাজানো
সূচিভেদ্য আরাত্রিক গলি, অ-কাতর -
স্পন্দে কিছু অবিন্যস্ত হলে , শান্তিজল দিও
থেমে যায় সবই, পথ ঘাট , এ মুহূর্ত ক্ষণ
উদযাম আরাত্রিক হলেই রশ্মিও হাসে ঠিকঠাক।

কিছু দ্বন্দ যায় না এড়ানো, অনাক্লিষ্ট চোখ
পৃথক দৃশ্য তাই স্বননে , মননে, দেখে এক দু' রকম
বয়ান সাজানো, শূলবিদ্ধ চোখ সে-ই
অবিন্যস্ত দেওয়াল আর দুর্বার পসার ছড়ানো

সে এসে সামাল দেন বিশ্বত্রাতা যিনি
যত রুঢ়, যতগুলো নিক্ষেপিত শূল
আজও সে তাহার সন্ততি
গতিরুদ্ধ করে দেন বিদ্ধ তীর নিষিদ্ধ সে শূল !



১২||

অবান্তর এ চলে যাওয়া
মগজেও বায়ু জন্মে প্রদাহ ঘনায়
পূঁতিগন্ধ বলে !

অপেক্ষায় উপেক্ষায় নাভি:শ্বাস হলে
সেই লক্ষ্যে,রোষ চিহ্ন থাকে
কিংবা অবান্তর
আছে কিংবা নেই
চলে যাওয়া হিট হলে,থেকে যাওয়া ফ্লপ !

ভেবে নাও মৃত্যু সত্যি জীবন বেয়ারা
যত খুশি সাপ্লাই করো
অর্ডারও অপ্রতুল হলে
করঞ্জাও হয়ে যায় রঙীণ গেলাস !

শোন , থেকে থেকে চলে এস বল
হৃদযন্ত্র নেভাতে শেখ নি -------,
প্রভু আর তরবারি ক্লাশে হে: হে: আমি সেরা !
আমার রসম ! কে আছো বুর্জোয়া
অযথা তামসিক, ছো:
এখনও দেখনি
এ কৈবল্য মেয়ে আমি নি:সর্গে রয়েছি
পার যদি মোকাবিলা করো !

হে অর্বুদ এত প্রেম যদি
স্মিত হাস্যে এস , মগ্নকাম এ প্রান্তর যৈবন প্রাক্কাল
খোঁপায় বিনুনি ঐ কালো মেয়ে
জীবন দেখে নি , সোনালী গমের শীষ
বাদামী গলায় চেয়ে আছে
তৈজস বুটিকে, উদ্যত ফনামুখ
মেলে দাও পূর্ণ দৃষ্টি ওর !

সাত সাত রঙ,সমুদ্রও তাই, অগাধ ব দ্বীপ
নক্ষত্রের ভীড় , অযথা তোমাকে ------?
স্বাতীর বৈধুর্য্য,দীপ্তমান চিত্রলেখা
অরুদ্ধতীও এই
বৈচিত্র্য প্রভা , আরো আরো আরো
প্রভা খুলে উঁকি দিয়ে দেখি, কতটা প্লাবন আছে
কত তার আঁকিবুঁকি স্বর
আদম কামড় শেষে আমিও উল্কিলোক
গোলাপ বাগ পাপড়ি ছুঁয়েছি
শাপগ্রস্ত পরে আছি , নিষেধ ক্ষত্রলোকে
পুরো গ্রহ উপগ্রহ খাবো !

১৩||

নৈর্ব্যাক্তিক চোখ
থেমে আছে কাছাকাছি খুব
বহুকাল, মধ্যপ্রাচ্য ধরে
একটাই চোখ ধরহীন, মুন্ডহীন, ভাষ্যহীন চোখ শুধু
উপড়ে এসেছে | স্থির হয়ে
আমার কবাটে ,পেছনে আমার আশপাশে
রুক্ষ দৃষ্টি তার,অযাচিত
উপেক্ষিত মূক্, মূর্ত দৃষ্টি শুধু, স্বরহীন
আপেক্ষিক চোখ | আঁতকে উঠি
ভয় পাই ছুটে যাই,ফিরে আসি
প্রশ্বাস পেটায় এসে উচ্চ রক্তস্রোত
সেই চোখ ঠায় দেখে ,সবকিছু একে একে
রাত্র থেকে ভোর , মণি তার মাথার ওপর
বিদেহ বিস্মৃত , ভয়ংকর চোখ তার
তির্যক মণি, মৃত আত্মা লাশের মতন
চোখ শুধু ,নৈর্ব্যাক্তিক চোখ
থেমে আছে , কাছাকাছি খুব,বহুকাল মধ্যপ্রাচ্য ধরে
আশপাশ ,ঘরদোর, সামনে,পেছনে
একদৃষ্টে চেয়ে আজও সেই নৈর্ব্যাক্তিক চোখ !