কবিতায় মন্তব্য ও দু'চার কথাKobitay Comment And Du Char Kotha
বাংলা কবিতা আসর এগিয়ে চলেছে তার অগ্রগতির ধারাকে বহন করে। অদল বদল হয়েছে কিছু নিয়মের। পুরোনোর সাথে নূতনের মেলবন্ধণ নিয়ে গড়ে উঠেছে এক বিশ্ব মানের যোগসূত্র। পুরোনোরা কিছুটা স্থিতু নতুনেরা আশান্বিত। আমরা যারা দায়িত্বে আছি একই রকমভাবে রয়ে গেছি অদৃশ্য হয়ে অর্থাৎ কবিতা ও কবির ঠিক মাঝ বরাবর স্থানে। সে সময়টা ছিল কিছুটা অন্যরকম। মন্তব্য ও কবিতায় টের পাওয়া যেত তৃতীয় পক্ষের আত্মিকতা। কাজেই এই আসর ছিল মিলন প্রাঙ্গনের এক অসাধারণ যোগাযোগ মাধ্যম আজও আছে-যদিও সময়টা চলেছে দ্রুতলয়ে। কর্মব্যস্ততায় মেশিনে মানুষে সময়টাতে দিয়েছে টাইম মেশিন বসিয়ে। অতএব রেহাই নেই অজুহাত দিয়ে। এদতুপলক্ষ্যে প্রতিদিনই প্রায় পড়া হয় বেশ কিছু কবিতা। ছোট বড়, খ্যাত অখ্যাত প্রত্যেকেই সমাদৃত। লেখনীর দৈনিক অত্যাচার সয়ে তবে প্রসূত হয় কাব্যিক কাঠামো তাতে রং রুপ, আবরণ আভরণ ইত্যাদি যোগে সম্পূর্ণ হয় পুরো আয়োজনটির। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ/অসম্পূর্ণতার বৈধতা নিয়ে একটি জিজ্ঞাসা থেকেই যায়। বিস্তারে না গিয়ে বরং কমেন্ট নিয়ে প্রসঙ্গত কিছুটা আলোচনায় যাওয়া যাক্। কবিতায় রেটিং দেওয়া আমার কর্তব্য সেহেতু কাঠামোর বিন্যাস সম্পর্কিত সমস্ত খুটিনাটি খতিয়ে দেখার সবটুকই কর্তব্যের মধ্যে পরে। এক তৃতীয়াংশ পাঠকের মন্তব্যে একই প্রকার মন্তব্য দেখতে পাই অর্থাৎ - খুব ভালো হয়েছে,অসাধারণ,খুব ভালো লাগল ইত্যাদি। একজনও সঠিক মন্তব্যকারী পেলাম না যিনি সঠিকভাবে মন্তব্য করেছেন। আমার জিজ্ঞাস্য - কবিতার আঙ্গিক,গঠন বিষয়ে এবং আলঙ্কারিক বিষয়টি সম্পর্কে আজও পর্যন্ত কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি কেন? নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সমস্তপ্রকার কবিতায় একই স্তুতিবাচক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পড়ার মত লেখাও একধরণের অনুশীলন। লিখতে লিখতে পরিপক্কতা আসে। ভাষা ও কাব্যিক বোধে তীক্ষ্মতা আসে। পরিপূর্ণতা আসে কাব্য রচনায়। সেই কারণেই আমার জিজ্ঞাস্য লেখককে সঠিকভাবে তার ভুল ত্রুটি স্মরণ করিয়ে দেওয়া,হোননা তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ। শিক্ষার কাছে বয়সের মাপকাঠি থাকতে নেই। তাতে হয়তো কমে যাবে কবিতার সংখ্যা কিন্তু বৃদ্ধি পাবে মেধার বিকাশ, কবিতায় খুঁজে পাবো কাব্যের প্রকৃত নির্য্যাস। আমরা পরিমাণ নয় পরিণত চাই। আসুন বন্ধুরা আমরা একযোগে মিলিত হই কাব্যসুষমা রক্ষার এই মহৎ কর্মজগতে।
আলোচনাটি ৬৭৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ২৪/০৮/২০২২, ০৬:১৭ মি: