জাতপাত
****************
সে ক্ষেত্র মুমূর্ষ আজ বুভুক্ষের থাল
একাকাশ চাঁদ ওঠে, পাত পড়ে
গোল গোল রুটির মতন, ভিখারির হাতে
উঠে আসে ঝনঝন পিয়ানোর, রঙীন শরাব
কামড় আঁচড়ে থাল্ তার অভিন্ন হৃদয়
ভাত চায় আরো কি কি.....
জ্যোৎস্না ঘনালে সবখানে সেই থাল্
চাঁদের মতন, বিষ দাঁতে চুম্বনের সহস্র কার্তুজ !
পাতে আজ অনামুখ একটাই রুটি
কি দেব তোকে আহম্মক! নৈশের চাঁদে আজ
সেলামী জোয়ার, সব রুটি আমন্ত্রণী
সিল মারা রুটি ক্ষুরধার,
থালজুড়ে সন্ত্রাস, বিভেদ বিধর্মী চিহ্ন,জোটবদ্ধ যুদ্ধ কারিগর
এ থালে অনশন মঞ্চ আজ!
উত্তরণ
*****************
এখন মৃত্যু নয় মাটি থেকে জৈবের
নৈশ উত্তরণ, চতুর্দিক
দীপ্ত শিখার মত মূর্ত সৈনিক
পেতে রাখো জাল,অভ্রভেদী লালার ক্ষতে
পতঙ্গাহুতি,নিশুত হলেই যার
পৃথক পরিক্রমা
নিশ:ব্দের প্রাচীর পেড়িয়ে গেঁথে আছে
অসংখ্য মুখ, কোথায় বসতি
স্থিরচিহ্নে অবিশ্বাস নিয়ে কে তুমি
প্রভাতী গান গাও?
মাটিতে সংস্কার, কূপলদ্ধ শান্তি চুক্তি নিয়ে
কি বেড়া টাঙাও তুমি পার্থিব মহলে
হাতে যার মৌন ঈশ্বর?
মৃত্যু এনে দেখাও তামাশা, এই কি পরিধি?
সীমানার শেষ প্রান্তে অগনিত
ক্ষয়ে যার আহুতি হয়েছে,কে দাঁড়াবে সেই প্রান্তে
যারা আজও অশুচি হৃদয় ?