যে কোনও একদিকে চলে যেতে পারি
যে কোনও দিন, যদি বল
মরুক্ষেত্র ফেলে অজাগর স্রোতে চলো
ভেসে থাকি আজ, আর নৈবেদ্য নয়
কন্ঠশৈলে এ বসন্ত
ভরে যাক মধুর যাপন
বালুতট ছেয়ে,
রৈখিক দৈর্ঘ্য থাক ইট কাঠ ঘরে
আমরা সমুদ্র হব, পাশাপাশি খুব
নিদাঘ উত্তাপ কেন,এ প্রহর শৌর্য্যে ভরুক
কে জানে কখন ডুবে যাবে সব সূর্য
থেমে যাবে প্রিয় কলতান, প্রাদেশিক গোলাগুলি বেয়ে
ভেঙে যাবে সব মুখ,
সবটা আকাশ তার চেয়ে
কিছু তত্তে
গেঁথে রাখি নিছক হৃদয়
রৌদ্র ছড়িয়ে যদি ফেরে উত্তাপ
এ শৈত্যে
আগুণ জ্বালাবো বড় সাধ।
২]
এতটা আগুণ পোষ কেন
বিদ্ধংসী এ রাত, জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যায়
এ ঘায়েল মন আকর্ষ পায় না কোন
দহন হতাশার,
সামগ্রী রয়েছ যত সবটায় বিমূর্ত ছায়া
একই সেই ক্রীড়নক জটাজুট সেজে
মন্ত্রতন্ত্রে রেখেছে বিলীন।
শৈব সে নয় মরুছায়া প্রলম্বন বসন্ত জুড়ে
কালা যাদু সর্বক্ষণ,মড়ার খুলিতে
রক্ত খায় নি:শব্দে, প্রত্নবিদ জানে সবটায়
বসন্ত খাঁক করে, চিরে নেয় হৃদপিন্ড
প্রেমিক হৃদয় একে একে।
ছড়ায় আগুণ শুধু আগুণ ছড়ায়
নিজভূম,ঘর,বাড়ি
দাউ দাউ লকলক আগুণ
ক্ষেত্র পোড়ে,ঘর পোড়ে, আশপাশ
পুড়ে যায় একগুচ্ছ রঙীণ হৃদয়,
হা হা,হাসে,অট্টহাসে
মরু দেখে,মরা দেখে,চিতা দেখে
ভস্ম দেখে নিজভূম ধূলার উপর।