যাক না ঘুরে আমার কথার শব্দগুলো
ঘুচিয়ে দিয়ে নির্জনতার ঘন্টা মিনিট
চলতো যেমন এক একটা দিন রাত্রি দুপুর
যাক না ক্ষয়ে বিবর্ণ দিন এলো মেলো।
বৃষ্টি চ্ছটা দিক ভরিয়ে প্রেমের ভুবন
আনমনা এই মনটা জুড়ে আষাঢ় শ্রাবণ
কোন অজানা গাঙের ধারে সময় গোনো
আমার না হয় সবকিছু থাক যেমন তেমন।
হঠাৎ করে উঠবে জেগে ফল্গু হৃদয়
মাটির তলে আমিই না হয় আড়াল হব
খুঁজবে বলেই মুখটি ঢেকে ছন্দালয়ে
আনছি ভরে সবকটি শ্লোক সব সমুদায়।
যাক না ফিরে দুর্মতি ঐ সব অজুহাত
সব খোয়ানোর দ্বন্দে যেন পাগল পারা
তোমার আমার সবকটি স্বর সব বরষা
দাহন শেষের সবকটি ঢেউ জলপ্রপাত।
সব ভেসে যাক মুখিয়ে থাকা বিসম্বাদে
জ্বলছে যেসব গাঁয়ের বাকে যুক্তিগুলো
আমরা এখন প্রেম করেছি নিদাঘ প্রাতে
যতই বেছাও অস্ত্র মারণ দ্বন্দে ঘাতে।
একজনই চাই ভীষণ রকম দ্বি প্রহরে
গনগনে তাপ তুমিই ত্রাতা, আগলে দাঁড়াও
খিলখিলিয়ে হাসিয়ে ছাড়ো ঘোর অবেলা
মানুষ গড়ে মানুষ মারে এমনি করে।
পাগল বলে দিচ্ছে গালি ধর্ম শালায়
একই ঠাকুর সব আসনে এক ভগবান
তোমরা যারা ঘন্টা বাজাও প্রদীপ জ্বালো
মুক্তি এসে দু' হাত পাতে ভিক্ষা আলয়।
সব ঘিরেছ হৃদয় নামক গ্রন্থিগুলো
উপায় তো নেই দরাজ হৃদয় ভালোবাসার
মুষরে পড়ে শেষ বিকেলের যজ্ঞশালায়
রাত্রি নামক প্রকোষ্টে সব নিদ্রা গুলো।
গোটা চারেক জীবন কেন অবাধ স্বাধীন
আগাছ ভরা গুল্ম লতা বৃক্ষ থাকুক
ভাবনা থাকুক নিজের মত যে যার স্থাণে
পৃথক করো যেথায় যেটুক মূল্যে দামে।
জাফরানী রঙ উর্দ্ধে বসাও আকাশ রঙে
রঙধনুও নেয্য রেখো মধ্য যামে
আমার তোমার সবকটি রঙ সবটা আলো
মেলুক প্রহর উচ্ছসিত সেই যাপনে।