দীর্ঘশ্বাস শুধু


কখনও মৃত আমির ওপর দিয়ে
পেড়িয়ে চলেছে
অর্ধ সমাপ্ত বিদীর্ণ এক পথ
মনে হয়
সক্রিয় গ্রন্থিগুলো নিষ্পেষিত করে
সদর্পে বয়ে যায় শব্দে বর্ণে
সালংকারা আত্মের মত
তৃষিত সে পথ সংগোপনে বুঝে নেয়
মাথার ওপাশে ভগ্নাংশের ছাতির মত
রোদ্দুরে অনাহূত স্মৃতিচিহ্ন বুঝি ।

বুক চিরে পিচ গলা ব্যাথা
কত শত রোদ্দুর নামে
মৃত আমি বলে ওঠি -
দ্যাখো,দ্যাখো এই আনকোরা
মৃত ঝোঁপ ঝাড়
ফাঁটা পোড়া মৃৎচিহ্ন রেখে
আমার উপর জন্মান্তর এ কি প্রতিশোধ ?

স্মৃতিচিহ্ন থেকে কেউ
অন্তর্হিত করেছে আমায়
ধূ ধূ মরুপথ ঢেকে গেছে ধূলিস্তুপে
অনাদৃত গাছেদের
ধূষর বৃত্তের কাছাকাছি
আরও এক অস্ফুষ্ট কক্ষপথ
নিদাঘ প্রদাহ আর মৃতগন্ধ
শবদেহে যেন নির্বিকার বাহকের
অন্তিম সমাধি আর স্তূপীকৃত লাশ !

কোথাও মিলাতে চেয়ে
ফিরে আসে বিদ্ধস্ত ত্রাসে
নাগালেই সব ছিল
সেই গন্ধ বুকে চেপে একা সেই পথ
নিরাকার শ্রেনীহীন ফলগুলো পথেতে লুটায়
এদিক সেদিক আমারই মতন
আজও অবিকল
নিশুথ আঁধারে ভূর্য্যপত্র খুলে দেখি
একগুচ্ছ মনস্তাপ রেখেছে সাজিয়ে
করস্পুটে পারেনি কৃতাঞ্জলি
ভরা সে দীর্ঘশ্বাস শুধু