পিশাচ
------------

শিখন্ডীর মতো,সমুখে দাঁড়ানো আজীবন
কে তুমি রয়েছ আড়াল জুড়ে
হিংস্রতা মুখোশে
কোন সে দোতারা বাজে
ভাঙণের সুর, সরে যায় বেলা
ঢলে পরে পাপড়ি সুরভ
বর্ণহীন আকাশ লুকায়
ঢেকে যায় নাক্ষত্রিক শোভা
একরাশ
পালক ছড়ানো নৃত্যরতা
যুগল পাখিটি
কে তুমি পিশাচ ওর রক্তে কোন মুক্তি আনো?
অন্ধকার নেমে আসে
মুখোশের করোনা প্রহর
সব পথ সরে যায়
সব হাসি,সবটা মুগ্ধতা,কারে শুষে
আঁধার এনেছ?
বীজাণু ছড়াও কোন সে তাড়ণে
কোন মোহে কার বিসর্জণে.....

বিষবাস্প ছেয়ে গেছে মাঠ জুড়ে
শিশুমুখ
হু হু বাড়ে জঠরাগ্নি দুধ শিশু
কি প্রগতি কোন সুখ ছড়াতেছ
নিদাঘ বেলায়?


আমি নেই
-----------?

কিছুটা কথার কথা, থেকে যায় তবু
বেলা পরে আসে,ক্রম অন্ধকার
সে কাঁধটা তখনও
সেদিনের মত প্রশস্ত মনে হয়
দূর থেকে ছায়া ঘনা পথে
জলদীঘি,দ্রঘিমাংশ ছুইয়ে নেমে আসা কাছে
সবটুক খোওয়া গেছে যেন
কার তরে দু বাহু বাড়ানো,চক্রাকার প্রতিচ্ছবি
ছুটে যাই ভ্রমে! কথা ছিল ভুলে গেলে
উর্নি ওড়াবো মাঠ জুড়ে
মৃতের শিবিরে একরাশ মুঠো ফুল
থেকে যাবে রোদ চুইয়ে গন্ধ হারিয়ে
তার শিখা আরক্ত ছিল
উষ্ণ সাদরে,কথায় গাঁথানো,শেষবেলা
অজ্ঞাত পাপড়ি খসা
ধূলাময় মলিন খোসায় !


তুমি নেই
-------------?

নেই তবু আছো কাছে দূরে কোনখানে
নি:সীমতার মতো সাড়া দাও
ছেড়ে কভু যায় নি কখনও, যে করেই হোক
স্মৃতিচিহ্ন হয়ে
বহুর ভেতরে স্থিতি হয়ে গতি হয়ে
কোন একখানে আসা সেই থেমে গেছে
বসে আছো অবস্থাণ জুড়ে
শুয়ে আছো চেতনা বলয়ে
হেঁটে চল বিবর্ণ ভূমে,রয়েছ দাঁড়িয়ে
সবখানে চেয়ে থাকো
যতটা পরিধি, মন থেকে মনের গভীরে
ছেয়ে আছো যতটা প্রকাশ !
লীন হয়ে ক্ষীণ হয়ে,প্রতিচ্ছবি যেন