প্রেম


তবুও হাঙর জলে শূলবিদ্ধ প্রেম ভেসে আসে
কার সে সমাধি, দাফন অথবা
সূচবিদ্ধ ফলার মতন, জৈব মঞ্চে
বারংবার সংগ্রাম ছিনে নেওয়া, ভাঙণে ভাঙণে
কোন তীর্থ সাজো আজো একান্ত নির্জণে
হতাহত মৃত্যুর মত
শূণ্যে রবে কিছু ধূলি স্তাপ, যে অন্তরে
নিশুথ প্রহর নেমে আসে দলে দলে
ঢিঁবির প্রকার, এর পরের উত্তাপ ?
কোন ভূমে কোন স্তোস্ত্রে গূঢ় ত্তাপ
অস্তমিত হবে
ছত্রছায়ে অজস্র আঙ্গিকে একই সেই
হাঙরের জলে,ঘুরে ফিরে
শুধু থাকে না উত্তাপ কোন আর।


নাবিক

কি ভাবে তাকাও
রসনা উচ্ছাস ! হে নাবিক মোহ কাম
শষ্যের ভেতর ক্ষুদ্র হয়ে থাকো
জল আলোয় উদ্বুদ্ধ হলেই
তীব্র পরিধি আরো আরো সঙ্গম !
শাপে ভ্রমে
রজ্জু নাশ হলে তুমিই প্রথম প্রজা
রোদধর্ম ধমনী গোলকে
বিষক্ষেত্রে ফলস্তুতি জন্ম ডেকে আনো !


চোখের সামনে মৃত্যু দেখেও
ভিডিও ক্লিপিংসে উদ্দাম গণতন্ত্র

প্রখর আলোতে ঝলসে যায় চোখ
কি বিশাল সাজসজ্জা, কি বা রুপ অর্থের বাহার
অর্ধভূখ পেট আমার ঘিঞ্জি গলিতে
রাখা আছে খাদ্যটুক নিম্নবিত্ত দু:স্থ আলয়ে !
পেট অনেক অ-নে-ক সংখ্যাহীন
বৃত্তের মতন, বুভুক্ষ অসহায় , যতনা খাদ্য তার
তিনভাগ নষ্ট হয়,একভাগ অর্ধভূখ
পেট চেয়ে রয়,পঁচে যায়, ফেলা যায় তথাপি অভাব
গণতন্ত্র সম বন্টন মুখে
হা হুতাশ ভিখিরি পাগলে, কিয়দংশ মরণ খেলা করে।
চুপিসার বাজারে গলিতে, অগনিত
কবলিত মেয়ে আর
কিলবিল খদ্দের আর লাশ !

প্রতিদিন জন্ম হয় মৃত্যু হয়
যতটুক বেঁচে থাকা ততক্ষণ টের পাওয়া
শ্বাসের ভেতর তোলপাড়
এগিয়ে চলেছে অনন্ত পথিক যেন
শাশ্বত পরিধি পেরিয়ে আলগোছে কেউ
ঘুম ভাঙে ভোর হয়
অসংখ্য আলোকবৃত্তে কেউ গেঁথে চলে
উর্ণনাভ স্বর, পৃথিবী বৃত্তে তার
নিরন্তর যাওয়া আসা , পদচিহ্ন ফেলে
উদাস সৈকতে কার নাম লিখে
হৃদস্পন্দ রেখেছে লুকিয়ে। জন্মক্ষণ ভেবে
কত না বৈভব , অলঙ্কার খুঁজে
ঝলসা আলোয় যন্ত্রণাকাতর ফিরে যাওয়া।

জন্মভূমিশ্চ



নিশাচর শব্দভূখ

কিছু প্রেম চুরি হয়ে যায় , কিছুটা হতাশ
বোঝা যায় অন্য দৃশ্য, অন্য মহাকাশ !

চুপিসারে থাকে কিছু অনন্য গোপনে
প্রেম বলে নেই কিছু বলে বিদ্বজনে !

একই সেই কাঁটা ঢেকে মাংসের মতন
ভাবে রত্ন প্রেম বুঝি অতি সযতন !

সারস ও ভেবে বসে মৎসের হৃদয়
কাঁটা ফেলে মহোৎসব প্রেম বিনিময় !

এ বিশাল মাংসভূখ পৃথিবী বিলাসে
ফাঁকা সবই শূণ্য থাল্ পূর্তির শেষে !

কাড়াকাড়ি নেই দ্যাখো অতি সু শৃঙ্খল
মানুষই রাজত্ব করে অভূক্তের সম্বল !


আজ রাতে কে আছো পাশে


জেগে জেগে চেয়ে থাকা, কি এক আবেশ
কার সশব্দ আঁওয়াজ , অদ্ভুত আলোক প্রভা যেন
জাগতিক মোহে কার হাত কাঁপে স্পর্শ লাগে
গভীর গোপনে, নি:শব্দ হৃদয়
আধো অচেতন কত কি কথার , স্পষ্ট নয় তত
চা-ই চাই চাই শুধু অসহ্য গোঙানি
এ আঁধার পারে না ঘোঁচাতে এপাশ ওপাশ
ওলোট পালোট ভ্রমে জাগরণে।
কার যেন কবে যেন কাছে খুব আরো আরো
নিবিষ্ট নিশ্বাস আষ্টে ধরেছে কিছুক্ষণ
ও পুরুষ জীবন বিছিয়ে দাও নিবিষ্ট উত্তাপে
কিছুটা পিতৃস্নেহ , শাসণ বারণ ঢেলে দাও
সম অনুরাগে অর্ধচেতন এর
নাম সম্ভোগ ,স্বর্গ নরক থেকে পৃথক যেমন
বিচ্ছিন্ন দেহটি হৃদস্পন্দ
খোঁওয়া গেছে যার , কেউ নেই কিছু নেই
অনন্ত ভূ-পৃষ্টে ভাসে নিস্পন্দ জোনাকি !

প্রেম সংজ্ঞা বলো

নিবিষ্ট উত্তাপ আছে খোলসের কাছে
চৌর্যবৃত্তে ওৎ পেতে থাকা, বিশাল ফনার মোহে
অন্য দৃশ্যপট , চিনে নেয় সাপুড়ে ফনায়
অদ্ভুত বাঁশরি ,যতক্ষণ সে নাচায়
হেলেদুলে সে ও নাচে ইশারা ঈঙ্গিতে।
মহাবৃত্তে ততক্ষণ অনেক সাপুড়ে, খাদগর্ত চিনে
ফেলে রেখে সর্পদংশ মুখ
বিতর্কিত সাপ জন্ম দেয় ! হু হু ওড়ে ওমের ভেতর
তীর্যক মাকড় উন্মাদ গোল গোল
খাদগর্ত নিয়ে , হাঁ শব্দ বসে থাকে বুকের ভেতর
যুগধর্মে জানাশুনা কত নিঁযুত সাপেরা
ডিম হয়ে ভ্রূণবিন্দু মাটির উপর রেখেছে শয্যা যেন
চির অনন্তর, রাত্র শেষে কোনও এক
শষ্যধর্মী ক্ষেতের উপর তীব্র জন্ম তার !


বৃষ্টির ভিজে সংসার


কিছুক্ষণ সংসার পেতে তুলে নিই শষ্যপুরাণ
ঘাড় গুঁজে ঠোট রাখি ক্ষেতে
মন্দ হাওয়ায় উড়ে নিই পাখনা বলয়ে
আরেক তীর্থে চলো, পারঙ্গম তুমি বিন্দু শিশিরে
এনে দিও শৌর্য বলয় , বেণী বেঁধে
প্রহরায় শ্রেণীলব্ধ হব, আমাকে জাগিও
প্রভাতী আরক্ত মেখে হিমেল বাতাসে চল
বুনে রাখি নিষেক অন্তর, মোক্ষ লাভ হবে !
অনিরুদ্ধ তুমি কতটা উড়তে পারো
পাখার সঙ্গমে , নৈঋত জোনে
তপ্ত বায়ু বাধা দেয় ঘোরের মতন , অন্য পথে চলো
আমাদের শষ্যগুলো অন্তরা হয়েছে
এইবার পাত্ পারো , সংগবদ্ধ হই
কিছুক্ষণ ঘর বাঁধি খড় কূটো আকাশের গায়ে !


নিজের পৃথিবী বানাও


নির্জণে নয় নিজস্ব জগৎ বানাও
সৃষ্টকর্মে বাঁচো
কু ধর্ম প্রবেশের আগে ভাবো কিছুক্ষণ
জন্ম মৃত্যু চিরন্তন সর্বত্রই আছে
সেও জেনো তান্ডবে দুলেছে, উদ্দাম ঝড়ে
ঝড়ে গেছে অত:পর
ধূলাগৃহে রেখে গেছে অন্তিম নি:শ্বাস।
যতবার ছেয়েছিল, ফুল হয়ে
ফল হয়ে দস্যু পোকারা নি:শেষে শুষেছে
দৈহিক ক্রিয়ায়,আজ সেও
কথ্য হয়ে আছে জগতের মুখে। চলে যাবে
সকলেই পিছু ফেরা নেই যেনো
মৌনতা ঘিরেছে চতুর্দিক,  হাহাকার কত আর
মৃদু হেসে স্বার্থপর পরের মতন। ক্ষেত্র বানাও
তুমিও ডুবে যাও, অসংখ্য সদস্য আছে
শত শত শব্দ আছে, মেতে ওঠ ঝংকৃত আলোকে
আমরাও খসে গেছি গাছের মতন
ভূপৃষ্ঠ আলোকে আমাদেরও জয়গান থিতু
হয়ে আছে --------
সশব্দে উঠেছি বেজে হঠাৎ কখন !