এখনও শব্দভূখ ? প্রশস্ত এ বিচ্ছিন্ন বেলায়
পৃষ্ঠাজুড়ে কোন্ পার্থিব রেখেছ গুছিয়ে ------
সমাহিত এ অক্ষর দ্বন্দযুদ্ধে প্রতিক্ষণ , অলৌকিক
হাতছানি শুধু।
কত অব্দ তলিয়েছে,হা হুতাশ বসন্ত শাখ বেয়ে
কত তীব্র মনস্তাপ, অজস্র পিপাসা নির্জীব অতল বিবরে
তুমি তা দেখেছ জনান্তিকে ক্ষয়ে গেছে ক্রমে
ভ্রম বলে যা কিছু রেখেছি অনর্থক
তারে ছুঁয়ে সমাধি শূন্যতা হাহাকার, মধ্যগামী আমি
খুঁজে ফিরি পরশ পাথর।
তুমিও প্রশ্নচিহ্ন হয়ে অক্ষপৃষ্ঠে রয়েছ গুটিয়ে সেইসব
কিংশুক প্রহরে একা সেই নৈর্ব্যাক্তিক পথে
কতভাবে সাজানো গৃহেরা বারংবার কক্ষচ্যুত হয়ে
আমারই সগোত্রে আজ।
খোলামকুচির দলে কত সুরে, মাথায় তির্যক
রৌদ্র প্রহরী ঘিরেছিল পথ, দিব্য তুমি চলেছিলে
পাশ কেটে বলয়ের মত, যেন পর্যাপ্ত আলোকে আরো কেউ----
প্রতি অক্ষ,প্রতি ক্ষণ বিবর্তিত ঋতুর মতন
আমি আর বিক্ষিপ্ত উদ্যান, অস্বাক্ষর স্থির চিত্র
কি অক্ষে লীন হয়ে থাকি, অন্তরে সে প্রতিমূর্ত আজও অবিকল !
নির্জীব শুয়ে থাকি জলবৃত্তে, এ যন্ত্রণা খাবি খায়
তমোঘ্ন পাঁকের ভেতর !
আসবি না তুই আর
স্থিরচিত্রে দেওয়াল গছিয়ে
একই সেই ফিরে গেলি স্বৈরতন্ত্র স্রোতস্বিনী জলে
জানি এ বদ্ধ মায়ারা
সব খেয়ে ফেলে, অংশাবৃত হতে হতে
ক্ষীণবদ্ধ ফেলে রাখে বিস্মৃতি অঞ্চল ! ফিরে যায়
দৃশ্যগত নিরুদ্বিগ্ন চোখ,কোথাকার ক্ষুন্নিবৃত্ত এসে
গ্রাস করে তোর আমার নি:ঝুম বন্দর
ঢেউ তুলে জলের ভেতর
সে যানের অথৈ ঠিকানা কেড়ে নেয় যযাতির ভৌমের মতন।
তোর ছায়া আজো লেখা কর্তিত পিন্ডের উপর
বৈকাল শেষেও কেন এত আর্তস্বর
হু হু ডাক, চৈত্র মেঘ, সর্বনাশা গ্রন্থি বলয়ে একদলা
বিষন্ন মনস্তাপ ! চলে যাস সব ছেড়ে
উদাসীন ধূ ধূ পথ, পথের ভেতর --------!