অমল অনল স্পর্শ মানবকোষ ক্রমাগত ক্ষতবিক্ষত করে।
টিগারের পকেটে তামা আঁটকে রেখে সমুদ্রের মতো নারী তালাশ করে।
নীলচাঁদের ঘরে নিদ্রাহীন অন্তবার্স মহাপুরুষের দ্বার খোঁজে।
নাথের ঘরে সতি থাকে।সতিও সতিত্ব রক্ষার জন্য ক্লান্তশরীর নিয়ে মরদ খোঁজে।
রক্তমাংসের শরীর মানেই ক্লান্ত অলস।
লাশকাটা ঘরে ক্লান্ত নেই
সবাই চিত হয়ে শুয়ে নিশ্চিত নিদ্রায়।
পরিশ্রমে ক্লান্তশরীর ব্যাথাবিষে অনিবার্য জর্জরিত। ব্যথা গুলো উননের মতো জ্বলতে থাকে।
এপাশ ওপাশ হইতে হইতে শেষ প্রহরে আজান পড়ে।
লাশকাটা ঘরে সবাই নিশ্চিত বিভোর নিদ্রায়মাণ।
আশেপাশের গলিগুলোয় মোরগের ডাকে সূর্যি মামার আমন্ত্রণ।
নাঙল হাতে চাষারা মাঠে দৌড়াদৌড়ি।
লাশকাটা ঘরে এখনও ওরা চিত হয়ে শুয়ে আছে।
২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭
সাঁথিয়া, পাবনা