যেকোন সময় তুমি ধর্ষিত হতে পারো
অথবা
হয়েছ কোথাও।
ধরো,
তোমার প্রেমিকের সামনেই
যেন কেউ বাজাচ্ছে বেহালায় বেদম নিষ্ঠুর সুর,
তোমার হিমশরীরে স্তরে স্তরে
নিরন্তর সাজে।
যা ইচ্ছা তাই ই করা যায়।

যেকোন সময় তুমি ধর্ষিত হতে পারো
অথবা
হয়েছ কোথাও।
ধরো,
ভিড় শহরেই, মানুষ ও গাছের মধ্যে
তোমার নিম্ন জলে লালা ঝড়ে
অবকাশহীন মাথা মাটির গন্ধ চেনেনা।
একটাও শুদ্ধ শব্দ নেই,
বেড়ে যাওয়া তোমার কন্ঠস্বর।
আদি অক্ষরে বসে উচ্চস্বর বিলাপ।

যেকোন সময় তুমি ধর্ষিত হতে পারো
অথবা
হয়েছ কোথাও।
ধরো,
বাবা মার সামনেইই।
যেনো অনায়াসে ধর্ষন করা যায় - স্বাভাবিক।
আর, আদালত সাক্ষীবিহীন।
ধরো, সব শুনে আমরা মন খারাপ করে বললাম
বাগানে গোলাপ নেই কোনো, গোলাপ কোথায়?

যেকোন সময় তুমি ধর্ষিত হতে পারো
অথবা
হয়েছ কোথাও।
ধরো,তোমার প্রিয় বন্ধুদের সামনেই।
বা, একদম যে কারো সামনেই।

ধর্ষকের বড়গলা, এসব তো হয়ই।
এও এক স্বাধীনতা, তুমি যতই চেঁচাও।
বা রক্তে ভেসে যাক বিছানা, ফ্লোর বা মাটি।

মাস্টার মাইন্ড সমাজ এসব সামলে নেবে
এক নারীর ধর্ষন যন্ত্রনা
হাজার ধর্ষনের ঘটনায় মিটিয়ে।

যেকোন সময় তুমি ধর্ষিত হতে পারো
অথবা
হয়েছ কোথাও।
ধরো, বৈভবী অহংকারে মত্ত নাইট ক্লাব জ্বালে যে মৃদু ছায়াপথ
সেখানে
বা
সুপুরি মেহগনি বাগানে, রেললাইনের ধারে, আস্তিক নাস্তিক যে কারো ঘরে বা অন্যত্র পবিত্র কোথাও
দোকানপাটে, উৎসব অনুষ্ঠান একদম যেকোন সময়।
এরপর যদি বেঁচে যাও
তোমার বোবা পিতা তোমার হাত ধরে যেতেই পারে বিচারের আশায়।

বা রেললাইনে বাবা মেয়ে সুয়োরানী দুয়োরানীর গল্প করতে করতে
ধর্ষিতা মেয়েকে দেবী
আর
হুইসেল বাজিয়ে এগিয়ে আসা ট্রেনকে জান্নাতের সিড়ি ভেবে
মাথা পেতে দিতে পারো রেললাইনে।
এসব কিচ্ছুতেই কিচ্ছু যায় আসেনা রাষ্ট্রের।

ধরো
তোমার বয়স ছয় বা সত্তর।
যেকোন সময় তুমি ধর্ষিত হতে পারো
অথবা
হয়েছ কোথাও।
আর এসব কিছুতেই কিছু যায় আসেনা বিচার ব্যাবস্থার।

উৎসর্গ :- রুপা'কে।