বিষম খেয়ে গলায়, বিষের জ্বালায় জ্বলে নাসারন্ধ্র,
একটি ভাত আর একটু জল ওঠে বিপথে,
পড়েছে বিপদে, আশ্রয় পায়নি বাসস্থানে,
সহযোদ্ধা চলেছে কমান্ড অনুসারে, সারি বেঁধে পিঁপড়ের দলের মতো,
একাকী সে নিক্ষিপ্ত হবে আস্তাকুড়ে, কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে পিঁপড়াই হয়তো;
মানুষ নয়,
পুষ্টি যুগিয়ে হতে হবে বিষ্ঠা সেই কীটের পেটে,
তার চেয়ে মানুষ খারাপ কীসে?
অকৃতঘ্ন, উত্তরে বিষম-ভাত!
কেন?
তুমি মাকে ভাত দাও না, বাবাকে বল বুড়ো, শ্বশুর-শাশুড়িকে-
বাবা-মা বলে চিত্কার করে মুখের ফেনা তুলে ফেল,
বিষম খাওয়াব, কীটের খাবার জোগাব, নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেব, প্রেমিকার কথা মনে হবে, যে এখনও রাস্তা চলতে থমকে দাঁড়ায়, গাড়ির গতিপথ চিনে না;
অ্যাকসিডেণ্ট হয়নি এখনো,
শুধু তুমি বিষম খাবে বলে।
প্রত্যেক ভাত-জলকণা দুঃসহ বেদনায় উঠব উল্টো পথে,
তোমার কারণ।