বিচ্ছিন্ন দ্বীপে আমার নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী পেলাম। বকশিবাজারের ঘাম-বাতাস আর সেই সুঘ্রানের ঘোর যখন মগজে তখন ঢাকার ঘামঝরা রাস্তার মতোই অচেনা চোখ; চোখের রেটিনায় অপেক্ষা করছিল বন্ধ্যাত্ব কাটাতে। কাটছে,আমার বারান্দার খুব নিকটের অসীম আকাশ যা হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দেওয়া যায়,পানের বরজের ঐপাড়েই যার জন্ম, তার দিন কাটছে। ১১১-এর বাসিন্দাদের দিন; সাথে প্রতিবেশিদেরও কেটে যাচ্ছে। খুব মায়ায় পড়ে যাচ্ছি! যদিও ঢাকা এখন আমার কাছে আলোকবর্ষ দূরের কল্পলোক তবুও
ছেড়ে আসা মানুষ গুলো হাওয়ায় ভেসে এসে সঙ্গগোপনে ডুব দেয় আবদুল্লাহ'র চায়ের কাপের ধোঁয়ায়; মিলে যায় তাঁরা নতুনের ঘ্রাণে! নতুনেরা গাঁটছড়া বেঁধে তিন থেকে ত্রিশ [১১১=১+১+১=৩= ৩০] হয়ে যাই। হেঁটে চলি অদূরবর্তী গন্তব্যে মেঠোপথ ধরে বকুলতলা হয়ে পুকুর ঘেঁসে আমড়াগাছের একটু দূরে অথবা ডায়নিং ছুঁয়ে আবেদআলীকে কুর্নিশ করে গাবগাছ পেরিয়ে কাঠবিড়ালির সাথে কিছুদূর হেঁটে বামে মোড় নিলেই দেখা মিলে শৈলেনবাবুর বাড়ি, আমাদের মিলনন্থল। গেইট পেরুলেই আব্দুল্লাহর চা, এখানেই ঠোঁট পুড়ি, ঠোঁট ভেজাই। এবার বাসকপাতার হাত ধরে পাই পাকারাস্তার হাত। দেখি কুমারী দাঁড়িয়ে কয়েকটা দোকান নিয়ে। এ ভুগোলেই আমরা ঘুরি-ফিরি-খেলি। দিগন্তের হাওয়ায় মিলি বিস্তির্ণ সবুজে, আঁকি বৃত্ত। না-কেও হ্যাঁ এর মতো বলতে শিখি, প্রাণিসম্পদ শিখি। হয়ত আরও শিখতে আসব কুমারীর বুকে! শুনবো দাদু, দাদো, দাদা ডাকগুলো! বলব কত কথার কথা, তোমাকে বলব, " এখানে কোথায়?"