ভাবনায় ছিল তুষারে জমানো পাহাড় শ্রেণির,
লাস্যময়ী কোল কন্যা ছোট্ট সুইস শহর।
দেউলিয়াত্ত্বের অসহায় আত্মসমর্পণেও-
অপেক্ষায় ছিলাম হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের,
‘রয়েল পেন্টহাউস স্যুট’ এ একটি রাত যাপণের।
ভাবনায় ছিল বহুজাতিক সম্মেলণে
সাজানো সুইস কিভাবে হয় ধন্য?
দেউলিয়াত্ত্বের নিষ্ঠুর কদাচারণেও-
অপেক্ষায় ছিলাম মার্বেল স্নানঘরে
একটি সিক্ত স্নান করার জন্য।
ভাবনায় ছিল হোটেল স্যূটে বসে
জেনেভা হ্রদের নয়ন জুরানো সৌন্দর্য দেখার,
দেউলিয়াত্ত্বের নির্মম কষাঘাতেও-
আল্পস পর্বত উপভোগ করার হাতছানি
অপেক্ষায় রেখে আবৃত করেছিলাম হৃদয়ের হাহাকার।
সকল ভাবনা ও অপেক্ষার দূয়ারে কষাঘাত করে
অপেক্ষেমান দেউলিয়াত্ত্বকে বিদায় জানাতে আজ,
তুমি হৃদয়ের শীতলপাটি বিছিয়ে দিয়ে
নিয়েছো আমার প্রেয়সীর সাঁজ।
তোমার ভালবাসার জমানো শুভ্র তুষার
বিদায় দিয়েছে আমার,
দেউলিয়া হয়ে লাস্যময়ী সুইস শহর আলিঙ্গন করে
‘রয়েল পেন্টহাউস স্যুট’ এ রাত যাপণের অধিকার।
তোমার ভরাট দেহে যৌবণের সম্মেলন
দেউলিয়াত্ত্বের নিষ্ঠুর কদাচারণকে-
বেত্রাঘাত করে ভেঙ্গেছে আমার,
অন্তরে লালিত বাসনা ‘রয়েল পেন্টহাউস স্যুট’ এর
মার্বেল পাথরের স্নানঘরে স্নান করার।
তোমার নয়নের ভরাট দৃষ্টি
দেউলিয়াত্ত্বের নির্মমতাকে বধ করে,
বিদায় করেছে-
‘রয়েল পেন্টহাউস স্যুট’ থেকে
জেনেভা হ্রদ দেখার জন্য আমার তৃষ্ণারে।
তোমার টোলপড়া বাম গালের তিল
দেউলিয়া হওয়াকে গর্তে ভরে,
বিচ্ছেদ দিয়েছে-
আমার ‘রয়েল পেন্টহাউস স্যুট’ এ বসে
আল্পস পর্বতের সৌন্দর্য সাড়ি উপভোগের জন্য
আমার হৃদয়ে রোপিত আকাঙ্খারে।
তুমি পাশে এসে
উপহার দিয়েছো প্রেয়সীর সাঁজ,
হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের
‘রয়েল পেন্টহাউস স্যুট’ নয়
এ ঘর আমার স্বর্গ হয়েছে আজ।
=====০০০=====