যন্ত্রণাগুলো কষ্ট পেয়ে
শিকলবন্দী থাকার উন্মাদনায় মেতেছে,
তোমার নাঁকফুলের কাছে
আশ্রয় চাইতে গিয়ে প্রেমে পড়েছে।

তোমার নাঁকফুলের স্বচ্ছ পাথর,
সারা পৃথিবীর অস্বচ্ছ যন্ত্রণাগুলোর
প্রতিবন্ধক হয়ে দেখা দিয়েছে;
জাগতিক ভালবাসার মিলন মেলায়
তোমার নাঁকফুল যন্ত্রণাগুলোকে,
প্রেম দিয়ে সুখ শিকলের বন্ধনীতে ধরে রাখছে।

তোমার নাঁকফুলের নিরেট দেহের
ভরাট যৌবন-
প্রতিটি নিঃশ্বাস থেকে ভালবাসা নিয়ে
প্রেম কাব্যের কবিতা লিখছে।

কবিতায় যন্ত্রণানাশের
ছন্দ দিয়ে ভালবাসার পৃষ্ঠা ভরে
সুখ সোহাগীর-
সোনালী কলম আলতো করে আঁচড় নাড়ছে।

তোমার নাঁকফুল যন্ত্রণাগুলোকে
যখন প্রেম কাব্যের-
ছন্দময় কবিতার ভালবাসায় সিক্ত করে
সুখ সোহাগী নব যৌবনা রূপে ঘরে তুলছে,
তখন কেন আমার ঘরে-
যন্ত্রণাময় মাটির প্রদীপ জ্বলে জ্বলে
শাণিত দেহের উন্মাদনায় ঘুরে ফিরছে?

যন্ত্রণাময় মাটির প্রদীপ নিভিয়ে দিতে
সুখ সোহাগী নব যৌবনার জলে
ভালবাসার প্লাবন ধারা ভাসিয়ে দাও,
সেই প্লাবনের প্রেম দিয়ে
সুখের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখি;
সুখের প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে
ঋণেই থাকি-
তোমার ঐ নাঁকফুলেরই কাছে।

=====০০০=====