একাকী গহীন বনে
সখী তুমি বিহনে।
নিঝুম নিরালায়
বৃক্ষ ঢাকা ছায়ায়।
চারদিকে তাকাই
কিছুই নাহি পাই।
হঠাৎ কে যেন এল
ওহ! ঝিঁ ঝিঁ পোকাড় আলো।
এদিকে এসো ভাই
মনের কথা কই।
একা চলেছো দেখি
নাই কী তোমার সখী।
এ কী প্রশ্ন হায়?
ঝিঁ ঝিঁ পোকা বাতায়।
সখী বিনা জীবন
জানিনা চলে কেমন।
আমার, সখী নীড়ে বসে
পোকাড় বুনা কষে।
রাতের গল্প শেষে
খাইব দুজন মিশেে।
এবার ,তোমার পানে কই
কোথায় তোমার সই?
আর বলোনা ভাই
সখী আমার নাই।
একজন হবে তাই
বনে এলাম ভাই।
সে যে , আমায় ফাঁকি দিল
কোথায় চলে গেল।
দু:খ নাহি ভাই
আমিও চলে যাই।
এবার, হেলাল এলো
চারদিক ঝলোমলো।
প্রজাপতি এসে
হাতের উপর বসে।
মুখ পানে চেয়ে
আনন্দের গান গেয়ে।
নাচে তাধিং ধিনা
বাঁচবেনা সখী বিনা।
সখী তোমার হায়
এদিক সেদিক ধায়।
এসাে আমার পাছে
নেবো সখীর কাছেে।
ঐতো তোমার সখী
মেলে দুটি আখি।
বসে তোমার পানে
ভ্রমরের গান শুনেে।
এবার তবে যাই
ধন্যবাদ রইলো ভাই।
সখী তোমার পানে চেয়ে
গহীন বনে ধেয়ে।
তরুলতায় সুধাই
দেখেছো মোর সই।
বট বৃক্ষ সুধায়
পেয়ো নাকো ভয়।
বসো আমার পাশে
বন্ধু তোমার আছে।
প্রজাপতি ডানা মেলে
আনবে সখা পেলে।
আর বলোনা সখী
এবার কথা রাখি।
হাত দু’খান ধরে
আলিঙ্গন করে।
চলো দুজন যাই
মনের কথা কই।