আমাবশ্যার ঘোর অন্ধকার
কিছুই নাহি দেখা যায়
এমন অন্ধকার থেকে তুমি
এসেছো এ ধরায়।
পূর্ণিমার চন্দ্রের মতো
চারিদিকে আলো
এ ধরাতে আগমন তোমার
এবার আঁখি মেলো।
মায়ের স্তনে বিধাতা দিলেন
প্রসিদ্ধ খাবার
আঁখি মেলে বললে তুমি
এ ধরণী আমার।
মা জননী মমতাময়ী
করলো তোমায় লালন
তোমার জন্য গড়ে দিলো
এই সুন্দর ভুবন।
শৈশব ছেড়ে যখন তুমি
কৈশরে পা দিলেে
এই পৃথিবীর পরিবর্তনে
তুমি অংশ নিলেে।
সবকিছু ভালো লাগে তোমার
ভালো লাগেনা কোনো কাজ
কারো সাথে কথা বললে
লাগে শুধু লাজ।
ধ্বংসাত্মক যত খেলা
খেলো এ সময়
তোমার জন্য এ সময়টা
বড়ই দুঃসময়।
কৈশর শেষে যখন তুমি
যৌবনে পা দিলেে
এ পুথিবীর অনেক দায়িত্ব
নিয়ে তুমি নিলে।
যৌবনের টানে তুমি
অনেক কিছু চাও
ভালো মন্দ বুঝোনা
সবই তুমি নাও।
এ পৃথিবী তোমার
সবই তোমার জন্য
তবে কেন? আসল ছেড়ে
নিচ্ছো নকল পণ্য।
যৌবন শেষে যখন তুমি
বৃদ্ধকালে পা দিলে
এ দুনিয়ার অনেক কিছু
দেখে তুমি নিলে।
শৈশবকাল আর বৃদ্ধকাল
দুই কালই সমান
শৈশবেতে মাতা-পিতা পালেন
বৃদ্ধকালে সন্তান।
তুমি যেভাবে পালন করেছো
তোমার সন্তানেরে
তোমার সন্তান তোমায় নিয়ে
খেলবে তাইরে নাইরে।
হায়!বিধাতা এমন জীবন
দিওনা তুমি আমায়
সুস্থদেহ ,সবল মনে
ধরণী ছেড়ে দিও আমায় বিদায়।