নিঝুম রাতে দূর প্রান্তে
চন্দ্রাবতী ধায়
পাখ-পাখালী লতা-পাতা
চিন্তায় মগ্ন তায়।
কোথায় যাচ্ছে চন্দ্রাবতী
কোথায় তাহার ঘর
এই দুনিয়ার সব কিছু
করে, কিনা পর।
হঠাৎ এসে চাঁদের আলো
শুধায় চন্দ্রাবতী
পথ দেখাবো আমি
তুমি,বাড়াও তোমার গতি।
চাঁদের আলো চন্দ্রাবতী
এ কোন নতুন খেলা
অজানা দেশে ভাসিয়ে দিলো
জীবন মরণ ভেলা।
মাঠ পেরিয়ে বন পেরিয়ে
সামনে নদীর জল
চাঁদের আলো ,এখন কি করি
আমায় খুলে বল?
চাঁদের আলো ডাক দিয়ে কয়
ওহে! চন্দ্রাবতী
ভয় পেয়োনা কোথাও নেই
তোমার দুশমন পতি।
এমন সময় নদীর জল
কহে চন্দ্রাবতী
স্নান করে আমার মাঝে
পবিত্র হও অতি।
স্নান করে উঠে দেখে
এ কোন চন্দ্রাবতী
রূপ লাবণ্যে ভরপুর
দেখতে মিষ্টি অতি।
রাতের অাঁধার কেটে গিয়ে
যখন প্রভাত হয়
লিলুয়া বাতাস হেসে-হেসে
কানে- কানে কয়।
একটু পরে রবীর আলো
ছড়াবে চারিদিকে।
নতুন জীবন শুরু করো
সেই আলো গায়ে মেখে।