ঐ যে দেখছো দিঘির জলে
ফুটছে পদ্মফুল
ঝুমকো জবা ফুটে আছে
হয়ে কানের দুল।
কোকিল ডাকে কুহু কুহু
ঘুম ভাঙানি গান
হাম্বা রবে গরু-বাছুর
মারে সুরের টান।
প্রজাপতি নাচিনাচি
ঘুরে সারা বেলা
মৌমাছি মধুর খোঁজে
করেনা কোনো হেলা।
বাবুই পাখি নিজের বাসায়
সুখের গান গায়
বাঁশ বাগানে উঁকি মারে
ডাহুক পাখির ছায়।
বিলের জলে চুপিস্বরে
বসে সাদা বক
ক্ষণে ক্ষণে রসুল মিয়া
কাশে খকখক।
আম্বিয়ার বাপ রুপাই মোল্লা
জমিতে দিচ্ছে লাঙল
সোনাবানোর মা, কুলসুমবিবি
ঘুরছে নিয়ে ছাগল।
হলদে রঙের সরষে ফুল
লাগে আমার অঙ্গে
ও ভাই তুমি, কোথায় যাচ্ছো
নেওনা মোদের সঙ্গে।
রাস্তার মাথার কার্লভাটটি
ভেঙ্গে রয়েছে পড়ে
খালের উপর চিকন সাঁকোটিতে
। উঠলে শুধু নড়ে
হাটের উপর বাঁধানো
বিবিজানের কবর
মন্টু খাঁ হারিয়ে গেছে
নেইযে তাহার খবর।
ভোলা রাড়ি মেম্বার
চেয়ারম্যান পলু খাঁ
হাটের মাঝে মসজিদখানা
করে দিয়েছে পাকা।
বলতে পাড়ো, এসব কথা
আমি কী করে জানি?
পল্লী গায়ের ছেলে আমি
পল্লী আমার জননী।
এখনও তুমি ভাই
আমায় চেনোনা
বাঁকা গায়ের পথটি ধরে এসো
দেখবে, সবই আমার চেনা।