বিষন্ন বুকের জল কষ্টগুলো
উগরে দিই চৈতি দহনে
বাস্পীভুত হয়ে মিশে যাক সমুদ্রের
নীল দিগন্তে
চুম্বন চিত্র আঁকুক মহাকাল ঠোঁটে
আমি বুকভরে শ্বাস নিই
বাঁচায় জীবন প্রজাপতির আঁচলে
উড়ু উড়ু প্রোথিত স্বপ্নের মথ
স্থির প্রেক্ষাপটে
যে বোধ উবে গেছে
অস্তাচলের মায়া ভুলে
বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভায়
তার ফিরাবার রায় হয়েছে
তবু রোধ হয় কন্ঠ খনার জিহ্বা কর্তনে
প্রাচীন রাজসভা জুড়ে হৈচৈ
আর বর্তমানের গৃহবন্দী স্বর
ভোলেনি রাজপথে মিছিলের স্লোগান
শুধু মুখ ঢেকেছে রাত্রি কালো নেকাবে
জোছনার মায়ায় অবিরল জলফোটা
চোখের কিনারে চিহ্ন আঁকে
বিলুপ্ত বোধের তন্ত্রী
খনন হয় বালিয়াড়ী-শিলাস্তর
জল চ্যুয়ায় সে খননে
রক্ত রঙ ধরে সাহাহ্ন
পথভোলে সতেরো অশ্বারোহীর বখতিয়ার
নদীর বুক জুড়ে জন্মেছে পলি
অবলুপ্ত মনন কোষ আফ্রদিতির স্বপ্ন
তবু জোনাকী আলোয় জেগে থাকে
নন্দন তত্বের দেয়ালে চিত্র এঁকে যায়
সর্বশেষ মানবতার পাস্তুরিত আবিরে
প্রজন্ম খুঁজে পাক বাঁচার মন্ত্র দিকচিহ্ন
দেয়াল চিত্রের উদ্ভাসিত আলোয়