সুখ-দুঃখের নাগর দোলায়
দুখ হারাতে চড়ি,
নাগর দোলায় পাকটি খেয়ে
মাথা ঘুরেই মরি।
ঝরছে মহাকাল,
রোদ-কুয়াশার মতো ঝিরিঝিরি,
বুকে আলোকবর্ষের জ্যোতি ধরে।
ঝরছে জীবন শীর্ণ স্বপ্ন গুড়ি,
ইলশে গুড়ি রুপকথায়,
জীবনের গল্প ধরে।
জীবন ন্যুয়ে কষ্টঝরে রোদ বৃষ্টির ভাঁজে।
হাসিঝরা হতে পারতো পাথুর সময়,
দোয়েলের শিশ ভুলে যাওয়ায়
দেশালাই জ্বলেনি আলোমুখে।
উষ্ণ ঠোঁট ছুঁয়ে ঝরেনি স্বপ্নীল অধ্যায়,
পথভুলের ধারাপাতে অগোছালো হাসিও,
স্বর্শ করেনি পুরনো চৌকাঠ ।
বনসাঁই জীবনে পরাস্ত বিশেষন যোগে
প্রাপ্তিরেখা দীর্ঘ হলো।
বাউল বাতাস এলো দীর্ঘশ্বাসে
বুকভরা সে শ্বাস স্ফিত করলো বুক,
অনেক দুঃখের সে শ্বাসে জলভিজে হলনা,
শুষ্ক হয়ে বালীয়াড়ি হল বুকের প্রান্তর।
খুব পিছলে হলো পটভূমি,বোধমন্ত্র
আর স্বপ্ন,বিমর্ষের মলিন রঙ ধরে,
প্রেক্ষাপটে সময়ের বিরাম চিহ্ন রূপে।
তবু জীবনের দোল খুঁজি অশ্বস্ত ঝুরিতে
দোল দোল মায়ায়।
থামুক নাগরদোলা, টলমলে দোলনায়।