আমার সেদিনের সে সময়টা বেশ খানিকটা অলস ছিল
সহসা শীত-ক্লান্ত রজনীর মতো যেন অকারণ এক সুখ এনে দিল
রোজকার মত তখনও জেঁকে বসেনি সেদিনের ব্যস্ততা
ছিমছাম পরিবেশ, আমি ছিলাম একেবারেই একা
অতঃপর তুমি আসলে শীতের কুয়াশার মতন......
আমার অচল-অসহায় ক্ষণ সহসা তখন
বৈশাখি ঝড়ের গতি পেয়ে যেন দুর্বার বেগে চলে
কেটে যায় প্রায় ঘন্টা তিনেক সময় কী এক অজানা ছলে!
এসি রুমের শীত শীত আমেজে
কতযে কবিতার আলাপ আড্ডার সাজে.....
আমি শুনি, তুমি শোনাও
আমি বলি, তুমি কৌশলে বলাও
মিথ থেকে দর্শন হয়ে জীবনাচার
এমনকি পরচর্চা, নারীবাদিতা সবই ছিল সেখানে বারবার
আর টেবিলের দু’প্রান্তের ব্যক্ত-অব্যক্ত কবিতারা
মিশে একাকার -ঠিক যেমন সন্ধ্যার রঙের সাথে কুয়াশারা
নিঃশব্দে এক সময় মিশে যায় বটে
আমাদের বর্ধিষ্ণু সময়টা তখন ক্রমশ: বাঙ্ময় হয়ে ওঠে
নিঃশব্দ আবেগের সৈকত-ভোরে
দুজনার কথাগুলো যেন কেবলই খেলা করে
সমুদ্র-ভেজা হাওয়ায় হাওয়ায়
মেতে, মায়াবী ঝাউবন ছায়ায় ছায়ায়
আমাদের ঘন্টা তিনেক সময়
তখন নিজেই একটা বাঙময় কবিতা হয়ে যায়
আমাদের মাঝে সেদিন যেন কিছু বুঝে ওঠার আগে;
বড়ই জীবন্ত, সুন্দরতম লাগে,
যতটা সুন্দর তুমি। ওহে সুন্দর!
আরো সুন্দর থেকো কবিতা-সময়ের বরাবর
কেবলই অনাগত সময়ের মতন
যাকে দেখি নাই, যাকে জানি নাই, কেবলি নাছোঁয়া স্বপন