অনেকগুলি সন্ন্যাসী দিন আমি করেছি পার
এ না-প্রাণি না-উদ্ভিদ জীবনে আমার
নিজের কাছে মস্তবড় বোঝা আমি আজ নিজেই এখন
পতি নামক পুরুষ ছাড়া সখিনার ঘাড়ে যেমন
তিনটি অবোধ শিশু; নাড়িছেড়া ধন
এখানে শিশিরের মতন
ভেজাভেজা প্রেম জীবনঘাসে
যেন নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায় যন্ত্রণার ফার্নেসে
কর্পূরের মতন উবে যায় যেন অদৃশ্য বাতাসে
নিঃসীম আকাশে, আকাশের ওপার আকাশে
কেবলই এক অপ্রেমের লেনদেন চুলির মুঠি ধরে
সখিনার মতন টেনে নিয়ে যায় আমারে
এক অনিশ্চিত ভবিতব্যের দিকে
যা কুয়াসার মতন বড়ই দুর্ভেদ্য, রঙহীন, কেবলই ফিঁকে
অনেকগুলি সন্ন্যাসী রাত আমি পার করেছি কুক্ষণে
এ আমার না-স্বপ্ন না-বাস্তব জীবনে
নিজেই আজ বেসামাল পুরুষ এক নিজের কাছে
হ্যাজীবন-নাজীবন-অজীবন কী যে এক জীবন আছে!
ঠিক যেন ককটেইলের রঙে মেশা দরদালানের
বাসিন্দা ঐ চড়ুইয়ের
চড়ুই-চড়ুই-জীবন ধাঁচে,
যেখানে মৃত্যুর অধিক কিছু কেবলই নাচে, কেবলই নাচে
এখানে দিন নেই, রঙের মায়া নেই
নেই আবিরের কোন আবির-আবির ছোঁয়া সেই
এখানে বেশ্যার ভালোবাসার মতন
কালোকালো রাত যেন গহীন-গহন
কেবলই চন্দ্রহীন
কেবলই তারকাবিহীন
কসবী-প্রহরগুলি এখানে কেবলই দীঘল হয়
আচেহ থেকে ধেয়ে আসা সুনামির ন্যায়
দেশ থেকে দেশে, সাগর থেকে সাগরে
ঠিক তেমনি আমার ঘরে
আমি যেন আজ আদিম জনপদের ন্যায়
ক্রমশঃ বিলীন হয়ে যাই সন্ন্যাসী রাতের কুয়াশায়
শব-পোড়ানো ধোঁয়ার মতন
কেবলই ভাসতে থাকে অণুক্ষণ
কুয়াশার সাথে মিশে এঁকে বেঁকে
আমার গণিত-মস্তিষ্কের সরলাংকগুলি একে একে