ফসিল জীবন থেকে হঠাৎ জেগে উঠে সুদীর্ঘকাল পরে আগন্তুক ধুমকেতুর মতো বড্ড কাছ থেকে,
তোমাকে দেখলাম বেলাশেষের রোদের মতো; কিছুক্ষণ নয়, এই এক দন্ড হবে। হয়ত আমাকে
না দেখার অবস্থার আবরণ কিছুটা রেখেছিল ঢেকে বেয়াড়া-বেরসিক কুয়াশার মতো
তবুও আমি দেখলাম- তুমি কবিতার লয়ের মতো ডানদিকে ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালে, হয়তো
আমাকে দেখনি। কেননা, তোমার মুখের চেনা ভূগোলখানা তো জ্যোছস্না-সংকেতে আমায়
কিছুই বলেনি; সে তো দিব্যি রয়ে গেল একেবারে সুদূরের মৃত নির্বাক ইতিহাসের ন্যায়।

তাই ভাবছিলাম- দেখলে দূর্লভ হীরক পাওয়ার মত মূহুর্তটা কেমন হতো; কোন বৈশাখি ঝাঁপটা,
নাকি মেঘের আড়ালে উৎসুক দৃষ্টি বাড়ালে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া লাস্যময়ী চাঁদের মতো কিছু একটা,
কিন্তু আমিতো জানি কী হতো কেননা, আজকের তুমিতো আমার কাছে বর্ধিষ্ণু দিনের ভেতরে
হারিয়ে যাওয়া কুয়সার মতো, যে আর কোনদিন কোন কারণে ফিরবে না সেই সময়ের ঘরে

প্রায় সব বসন্ত পেরিয়ে যাওয়া বেলাশেষের সূর্যের মতো এই আমার চারিদিকে ঘিরে
তুমিতো ছিলে নেহায়েত ঝাঁপসা কুয়াশার মতো, যাকে নির্বীর্য আদরে-সোহাগে ফিরেফিরে
অনুভব করা যায়, কখনো বাড়ন্তযৌবনা জ্যোছনার মতো প্রেমিক আঙ্গুল দিয়ে ছোঁয়া যায় না
সবকিছু ভুলে স্রোত-উল্টাস্রোত বয়ে অবশেষে তোমার ভাসমান উড়ন্ত ছায়া ধরেধরে বায়না-
ঘুড্ডি উড়িয়ে নিজেকে হারিয়েছি বারেবারে বেসামাল এই আমি এক কল্পনার স্বর্গ মাঝারে

সায়ান্তের আঁধার বিলাসী আমরা দুজন কতটা ক্ষণ করেছি পরিপক্ক নিস্তব্দ খুনশুটি-ডুবসাঁতারে
সে কথা জানি। হয়ত তুমি জান না বসন্ত-ছোঁয়াহীন মানবী, যে জীবনের অভিজ্ঞতা হয়েছে ব্রাকেটবন্দী
সহেলি-সঙ্গ হয়ে ফেরে নাকো আর। তাইতো আমরা আজ উড়ন্ত মেঘের সাথে করে অবাক সন্ধি
এক, নিজেদের রৌদ্র-ছায়ার খেলা মেনে নিরন্তর চলেছি যেন বিপরীত ট্রেন, একেবারে সময়বন্দী