জগত-সংসারে দয়াময় আছে, আছে অপরিহার্য শয়তান তার
জানি আরো আছে আলো ও বিপরীতে জমাটবাঁধা এক আঁধার
তাইতো মানুষেরই মাঝে চেয়ে দেখ ঐ, দিব্যি আছে
সাধু ও শয়তান, হ্যাঁ ও না মানুষেরা বেঁচে
তারা আছে অষ্টদিশে দিব্যি মিশে জল-হাওয়ার মত একাকার
সকলে কয়-এটাই নাকি ভারী ন্যাচারাল ব্যাপার!
এটাই নাকি এ জগতের শাশ্বত নিয়মাচার!
কেউ বা বলে আবার এসব ভগবানের রহস্য কারবার

কিন্তু বলো আমায়, বড্ড দিব্যি দিয়ে বলো কোথায় সাধু সন্তেরা?
কোথায় সেই পোষাক পরা হ্যাঁ মানুষেরা?
কোথায় গেল তারা সব? ওরা ? ওরা তো যোচ্চোর, ঠকবাজ
বেজায় প্রতারক, সাইনবোর্ডধারী কঠিন হিপোক্রাট-রাজ
সকলেই ওরা রং-বেরং মুখোশ পরে
কেবলই চুপিসারে বসবাস করে
ঐ রহস্যময় অন্ধকার ধুরন্ধর ইঁদুরের গহ্বরে
যা নয়, সারাবছর শুধু তার ভেক ধরে

বলো, কে তুমি এই সমাজের সন্ত পুরুষবর!
আর আছে কীবা সাধ্য তোমার!
ওদের সনাক্ত করবে নিশ্চিত করে?
এতটাই বুকের পাটা? ধরবে ফাঁদ পেতে তারে?
অতঃপর গুঁজে দিবে মুখে
বড় নির্দয় নিষ্ঠুর বুকে
যত এক নম্বর র‍্যাট কিলারের বটিকা।
ওরাই যে আজ হর্তা, ওরাইতো কর্তা
ওরাই সবকিছুরে…..
ওরা সকলের উপরে

হায় মানুষ! হায় জগত! হায় সংসার!
এমন দেশজোড়া আজব আয়োজন, বীভৎস অনাচার
কে দেখেছো কবে?
একজন আদিহীন(!), অন্তহীন(!) দেওয়ানই যদি এই ভবে
সব সিদ্ধান্তের মহাপ্রভু হবে,
গাদা গাদা আইন-কানুন-সিস্টেম এসব কেন তবে?
তবে কেন এই ট্রাডিশন, কলারপাতায় বাঁধা নিয়মাচার?
এতো এতো টপার, আবার জ্যেষ্ঠ টপার?
আর কি-ই বা তার আবশ্যকতা?
আমি কখনো কিছুই বুঝি না তা
কিছুই বুঝি না
                        -রংপুর;১৩০৪১৫।
(ঠিক এরকম যোচ্চোরের কাছে
অবিচারের শিকার হয়েছিলাম)