অতঃপর একটা জঘন্য এবং জঘন্য ঘটনা ধূমকেতুর মতো এসে
একটা মহাসত্যকে ধ্রুব তারার মতো আজ প্রতিষ্ঠিত করলো অবশেষে-
আসলেই কোন হ্যাঁ-মানুষ নেই এ জগৎ-সংসারে
হ্যাঁ মানুষ বলে যারা চিৎকার করে বা রেকর্ডমূলে দাবী করে
নিজেকে বহু কাজে বহু কথায়
নির্লজ্জের মত ঢাক বাজিয়ে প্রচার করতে থাকে নিজেকে বহুমাত্রায়
আসলেই তারা কেবলই মুখোশধারী, কেবলই খবিশ
বিচিত্র মুখোশের আড়ালে তারা এক একজন শ্রেষ্ঠতম ইবলিশ

এই বিদ্ঘুটে আকাল-কালে যদি পুনরায় ইবলিশ বাছাই করা হতো
নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির ভেতর থেকেই খুঁজে পাওয়া যেতো
শ্রেষ্ঠতম তাকে; এ কথা ভাবা যায় নিশ্চিত বিশ্বাসে
আর আজ কেবলই কতিপয় মানুষের নিঃশ্বাসে
ভেসে থাকলো, আর জেগে থাকলো
সেই জঘন্যতম ঘটনাটা, যা একান্ত অন্তরালে ঘটে গেল

আরও জেগে থাকবে গভীরে অন্ধকারে
ইবলিশের শিকার এ হতভাগা মানুষটির মগজের ভেতরে
জানি, এ ঘটনাটা কোন দিন আর প্রভাতের আলোর মত প্রকাশিত হবে না
কিংবা কোন গবেষকের খাতায় কালো অক্ষরে জেগে রবে না
কখনো। তবে জানি, প্রত্যুষের মতো ক্রমশঃ প্রকাশিত হতে থাকবে এক সময়
কঠিন মুখোশের আড়ালে থাকা সেই ইবলিশের পরিচয়;
উলঙ্গ থেকে উলঙ্গতর হবে তার কুৎসিত মুখখানা
দিকেদিকে সকলের কাছে।সমাজের মানুষগুলো তর্জনী তুলে বলবে- দেখ না

ওই যায়, ওই যায় এ কালের শ্রেষ্ঠতম ইবলিশ;
বড্ড মুখোশধারী, তাকে কৌশলে চিনে নিস 
তাই বলি, হে মানুষ! ভুল করেও মানুষের কাছে যেও না
ভুল করে মানুষের কাছে কিছু চেয়ো না
কখনো। কেন না, তুমিতো জান না, কেবা মানুষ-মনীষ
আর কেবা মানুষের আড়ালে থাকা অনির্বাচিত ইবলিশ
আপাদ-মস্তক বাটপাড়, খবিশ! খবিশ! 
                    ……..
০১-১১-২০১৯ ঢাকা।
(এরকম ইবলিশের কাছে আবার
অবিচারের শিকার হয়েছিলাম)