নিশ্চল ফ্রেস্কোর মতন বারান্দার রেলিং ঘেঁষে      
তোমার কেবলই দাঁড়িয়ে থাকা, আর হেসে হেসে    
শব্দহীন কথা বলার দুর্বার ভঙ্গিমার
তৈলচিত্রগুলি, আর কখনো হঠাৎ তোমার অখন্ড লাস্যময়তার
জলছবিগুলি, কিংবা নাটাফলের মতন দুচোখের চাহনীর বাঁকবদল
এ সবই অনুভব করি কেবল
কোন এক স্বভাব-কবির স্বভাবের দায়ে নিরাপদ দূর থেকে শুধু

হে, অকালের বধু!
আমার কবিতার নীলাম্বরী পরাই তোমারে তখন
মতুয়া-বধুর আল্পনা-কাহিনীর মতন
কাব্যিক কোন কল্পনার গভীরের গহীন অন্ধকার
জগতে যেন যুগলবন্ধনে কাটাই হাজার 
বছর আমি। সহসা দেখি চারিদিকে জীবনের
গাঢ় নীল সমুদ্রের
কেবলই শব্দের খেলা, খেলা অবিরাম
কিবা তার ঘাত, কিবা প্রতিঘাত, কিবা তার নাম
আমার ভাবনার দেয়ালে কেবলই চোট লাগে তার
তবুও শ্রাবস্তির কারুকার্যে মুখশ্রী তোমার
কেবলই কাব্যময় হয়ে ওঠে আমার তাবত অস্তিত্ব জুড়ে
সহসা তখন হৃদয়ের মাটি ফুঁড়ে
বাগশ্রীর ঝংকার ওঠে, বয়ে যায় রাগ-রাগিনীর তুফান;
এ যেন কোন নিরন্তর সামুদ্রিক বাতাসের গান।

হে ভাবনার বধু, তোমার নিস্তব্ধতার অতি-সজ্জা
কেবলই কুরেকুরে খায় আমার অস্থি-মাংস-মজ্জা
তারপরও আমি তোমায় বুঝি না
কেন এতটুকু বুঝি না?
এরই নাম বুঝি নিষ্ঠুর ভালবাসা,
যার প্রবহমান যন্ত্রণার নীল নীলদশা
নিয়ে যায় মৃত্যুর ছায়ার মতো কেবলই আমায়
জীবনহীনতার কাছাকাছি কোন এক রোদ-পোড়া আঙিনায়