কালো মেঘ যখন সন্ধ্যার তমাল কুন্জের মতো আরো প্রগাঢ় হলো,
ঢেকে নিল আপ্রান্ত দশদিশে ভয়ংকররূপে
তখন অন্তর্গত সত্তায় অকস্মাত সাড়া দিলো-
আমাদের একজন মেসাইয়া বড়বেশি প্রয়োজন
অতঃপর ঘনীভূত মেঘ-বজ্র-বৃষ্টি-ঝন্জার এক
সমবেত প্রলয়-নর্তন শুরু হলো;
আদিগন্ত মৃত্তিকা কাঁপে,
ওষ্ঠাগত প্রাণ সকলের, যার নাম নাভিশ্বাস
অন্তর্গত সত্তা আমার আঁতিপাঁতি করে খোঁজে-
কই আমাদের মেসাইয়া?
অতঃপর চাঁদের উর্ধমুখী ষোলোকলার শেষ ধাপরূপী
তিনি আসলেন
ভেতরের সত্তা আমার অন্তর্মুখী,
কিছুটা বহির্মুখী হয়ে সহসা বলে উঠল-
এই তো, তিনিই আমাদের মেসাইয়া!
প্রলয়-নর্তন বন্ধ হলো, কিন্ত রেশ গেল না
শেষ পৃথিবীর দশার ন্যায় দেখি-
উল্টা নর্তন শুরু হলো
সমবেত আমরা দেখি- সহসা মেসাইয়ার সম্মুখে
এক আপাদ-মস্তক শুভ্র মূর্তি;
বড্ড ভাবায় সমবেত আমাদেরকে।
চাঁদের ষোলোকলার শুরুটাতো হয়েছিল
কিছুটা নাড়ীর বন্ধন দিয়ে
শুনেছিতো এই বন্ধনের দাবী কখনো অগ্রাহ্য হয় না
তবে কি তিনি আমাদের মেসাইয়া নন?
অন্য কারও!
তিনি কি কারো হাতের ঘুঁটি মাত্র?
তারও কি রয়েছে পিছনে কোন অমোঘ নিয়ন্তা?
এক কথায় মহাপরিকল্পনাকারী!