আসলে কি আমরা দিশাহারা বাতাসের মত এক ভুল পথে চলেছি
বরাবরই? যত কথা হয়েছে বলা কিংবা না বলা, সবই কি ভুল বলেছি
এতকাল? প্রশ্ন জাগে-আমরা কি ভুল কিছু চেয়েছিলাম ভুল কিছু ভেবে?
নাকি আদৌ কিছু হয়নি চাওয়া, যে যার মতো ভেবে নেবে-
এই ভেবেছিলাম? এতটা লম্বা একটা জার্নি শেষে
এই অবাস্তব এক অজানা ঠিকানায় এসে
কী দেখছি আজ-শুধু আগুন আর আগুন!
হরেক রঙের আগুন, হরেক রকমের আগুন-যেন আগুনের ফাগুন
দিকেদিকে সমীরে সাগরে অনীল অম্বরে
ষষ্টাঙ্গে বাহিরে ভিতরে
কেবলই আগুনের খেলা, অস্থির এক আজব খেলা
চলছে নিরন্তর। চারিদিকে কেউ নেই, কিছু নেই, শুধু ইচ্ছে পুতুলের মেলা।
সেই সে ম্যাগনা কার্টা; জমিন-জোড়া চলমান বাতাসের সাথে আকাশের দলিল!
সেকি কথা বলে? সেকি চলে? নাকি অচল এক বিষাক্ত সলিল?
-কেবলই মজে আছে, পড়ে আছে অসহায়
আর ভিতরে তার সন্তরণরত দিকপাল নক্ষত্র কতিপয়
যারা আছে, তারা কি কথা বলে? তারা কি জ্বলে
অবিরাম? তারা কি শাশ্বত কক্ষপথ ধরে চলে?
নাকি সকলেই ইচ্ছে-পুতুল; চলে অন্যের ইচ্ছায়?
বলে কেবলই অন্যের ইশারায়?
আর ঐ যে বিধানিক সহযোগী কতিপয়,তারাও কি ইচ্ছে-পুতুল
কারো হাতে? তারা কি আরো তুমুল
কোন মাতাল? তারা কি ইচ্ছার আগে চলে?
আর ইশারার আগেই কথা বলে?
তাই যদি হয়, আমরা কোন পথে চলেছি? কোন গন্তব্যে গমন
আমাদের দুর্বার এক সুনামির ঢেউয়ের মতন?
আমরা কি তবে এক সিডর-আবর্তের মধ্যে আছি সকলে?
যেখানে ধ্বংশ আবর্তিত হয় সিডর চোখের ইশারায়, এবং তারই কবলে
একদিন পড়বে সকলে, নিমিষে বিলীন হয়ে যাবে নিশ্চয়।
হা! সোনার বাংলা, হা! রাজনীতি, হা! মানুষে মানুষে শত্রুতা বিনিময়।
তোমাদের শেষ কোথায়?
শেষ কোথায়!