কবি একদিন ইবাদতের রাতে বড্ড নালিশের সুরে বলেছিলেন,
‘হে পরোয়ারদিগার, (পীঠস্থান) কি ডাকাতদের গ্রাম?’
বেঁচে থাকলে আজ বিস্মিত-পরিণত তিনি কী বলতেন?
হয়ত বলতেন-বড্ড যুথচারি অথচ স্বার্থখেকো, হয়ত বা মানুষের নাম,
এবারে তোমরা একেবারে কুরুক্ষেত্র বানিয়ে ছেড়েছো?
অতঃপর সেই কুরুক্ষেত্র সুনামির মতো সহসা বিস্তারিত হয়েছে
সকল ভূবনবিদ্যাপীঠে, গোটা রাজধানী, অবশেষে
সমগ্র দেশে!
চারিদিকে বিষন্ন দিনরাত তোমাদের স্বভাবের অন্ধকারে
নিমজ্জিত হয়ে বারুদের গন্ধে কেবলই করে হাঁসফাঁস
আর তোমরা তাজা মাংসের লোভে লুব্ধরা বড্ড স্বভাব সমাচারে
রক্তের হোলি খেলে রাঙিয়েছো আকাশ
আরো দেখি-লেবাস ও লেবাসবিহীন রাজরক্ষি মিলেমিশে হানে
জিঘাংসার বুলেট। কাছথেকে বক্ষ চেতিয়ে স্বপ্নকাতর বুকের মাঝখানে
ধারণ করে নেয় তা কোন পড়ুয়া তরুন!
কী সকরুণ!
লাভা-গর্ভ পৃথিবীর মত নিমিষে গোটাবিশ্ব যেন প্রবল ঝাঁকি খায়;
আটলান্টিকের ওপার থেকে স্বস্তিকা লেখেন বেদনা ও বিস্ময়ের কবিতাখানি
আর এখানে কুরুক্ষেত্রের মধ্যে বসে রক্ত ও মৃত্যু-দর্শী বড্ড অসহায়
প্রিয় বুদ্ধিজীবী হৃদয়ের কালিতে লেখেন ‘বিদায়ের বাণী’
হায় বিধাতা! এই কি তোমার আশরাফুল মকলুকাত?
হোমোস্যাপিয়েন্স! হায় বিধাতা! হায় বিশ্ববিবেক! সবই বরবাদ!
আজ কোথাও কেউ নেই, কিছু নেই কোনখানে
কেবলই বিপন্ন স্বপ্ন কাঁদে শূন্য শ্মশানে
(রচনাকাল-জুলাই ২০২৪)