আমি হাজার বছর ধরে বেড়িয়েছি ঘুরে
পৌরাণিক সভ্যতার শিকড় ধরেধরে দূর থেকে বহু দূরে
কেবলই সেই আরণ্যক সভ্যতার হিংস্র অন্ধকারে
সেই আঁধার সঙ্গমে আমি পাইনি তোমারে 

কিংবা বৃক্ষসভ্যতার সেই ক্রোরোফিল যুগের অরণ্যে   
কেবলই সেই বৃক্ষবন্ধুর পুষ্পিত সঙ্গ চয়নে চয়নে 
আঁধারের মতো গোপনে পাইনি তোমারে
সেই বিশ্বস্ত অন্ধকারে

কিংবা শ্বাপদ-দানবের সাথে  
সেই জঘণ্য ক্ষুধা আর রক্তের হোলি খেলায় রাতে-বিরাতে  
আমি পাইনি তোমারে
হাজার বছর পরে
আজ ঝলমলে নাগরিক সভ্যতার
আটপৌরে আলোতে এসেও আমি মানব আজ ক্লান্ত বারবার   
তোমাকে খুঁজে খুঁজে, তবুও কোন খানে
তোমার দেখা পাইনে   
তারপরেও সবটুকু বেদনায় আজও বেঁচে আছি
ভারী জীবনটাকে বহু কষ্টে টেনেটনে নিয়ে জীবনের কাছাকাছি

এই হট্টগোল যান্ত্রিক সভ্যতার    
রোবটিক আটপৌরে অভিজ্ঞতার 
সমৃদ্ধ ভান্ডারে
আমি পাইনি তোমারে

তোমাকে পাইনি আমি স্বপ্ন এবং স্বাধিনতার সঙ্গমে   
কিংবা নেশায় চুরচুর ঝাড়লন্ঠন তলে কোন রাতের মধ্যজামে
তোমাকে পাইনি আমি নিয়নের আলো আর   
দারিদ্র্যের বেশ্যাচার
তৈলচিত্রের কোন প্রদর্শনী গ্যালারীতে 

তুমি আসলে কোথায় আছ? কোন বসতিতে
কোন রঙহীন জলে, কোন রহস্য-আকাশতলে    
কোন মোহন জঙ্গলে    
অথবা কোন সে সুবর্ণ-স্বর্গভূমি     
আসলে কোথায় আছো তুমি!
কোথায় আছো তুমি?